পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ २२ } নিৰ্ম্মিত হইয়াও তিনি কেন বহ্নিময়ীর ন্যায় মদীয় স্নেহানুবিদ্ধ মনকে দগ্ধ করিতেছেন জানি না । ৫৬ ৷ কামরূপ কুমুদাকরের বিকাশিনী চন্দ্রলেখাসদৃশ ও নয়নপদ্মের বিকাশহেতু সেই অনিৰ্ব্বচনীয় কন্যাকে আমি দেখিয়াছি । তাহার লাবণ্যরূপ সুধাধার নিপীত ( অর্থাৎ নয়নগোচর ) তইলে বিষসন্তাপস্থচিক মূৰ্ছা প্রকটিত হয় । ৫৭ ৷ লীলাগুরু কুসুমায়ুধেরও বিলাসজননী মৃগনয়ন সেই কন্যার নাম মলয়ুবতী । আমি শুনিয়াছি নে, ইনি নিৰ্ম্মল সিদ্ধবংশরূপ সাগরের তারাপতিসদৃশ বিশ্বাবস্থর কন্যা । ৫৮ ৷৷ পরম বিশ্বাসভাজন ও প্রণয়ী গন্ধৰ্ব্বকুমার সুবন্ধু নবোস্তুতকাম বিদ্যাধররাজকুমারের ঈদৃশ বাকা শ্রবণ করিয়া বলিতে লাগিলেন । ৫৯ ৷ সখে, বড়ই মুখের বিষয় যে তুলাগুণ ব্যক্তিতেই তোমার মনোভিলাষ হইয়াছে । পুণানুষ্ঠায়ী ব্যক্তিদিগের মনোরথ অবশ্যই সৎপথগামী হয় । ৬০ { রতিবল্লভ কামদেবের বিজয়বৈজয়ন্তীস্বরূপ ত্রিলোক সুন্দরী সেই কন্যাই ধন্য । যেহেতু তিনি মুরাঙ্গনাবিলোকনেও নিৰ্ব্বিকারচিত্ত ভবাদৃশ জনেরও ধৈর্য চুতি সম্পাদন করিয়াছেন । ৬১ ৷ যেরূপ রজনীর মধ্যে একমাত্র পূর্ণিমা রজনীই পন্যা, তদ্রুপ সৌভাগ্যশালিনী সেই কন্যাক্ট শুাম নারীগণের মধ্যে সব্বশ্রেষ্ঠ । ঐ পূর্ণিমা রজনীর অভাবে অমৃতরশ্মি চন্দ্র দিন দিন ক্ষীণছাতি হন, অবশেষে অতিস্বল্প নথক্ষতসদৃশ ক্ষীণাকার ধারণ করেন । ৬২ ৷৷ এখন ধৈর্য্য অবলম্বন কর । যাহা তোমার বাঞ্ছিত বস্তু, অনায়াসেই তাহ করায়ত্ত হইবে । তোমার পিতা সিদ্ধপতি বিশ্বাবস্থর নিকট তোমার জন্য সেই কন্যাকে প্রার্থনা করিয়াছেন । ৬৩ ৷ “আমি ধন্য হইলাম, যেহেতু ত্ৰিজগৎপ্রিয় ত্বদীয় পুত্রের সহিত মদীয় কন্যার সংযোজনা হইতেছে ; ইহা দু্যতিমান নিশানাথেয় সহিত নিশার যোজনার ন্যায় বড়ই প্রীতিজনক” সিদ্ধপতিও এই কথা বলিয়া মহানন্দে কন্যার বিবাহের আয়োজনে তৎপর হইয়াছেন । ৬৪ ৷ সখে, কল্য প্রাতেই বিপুল উৎসবের সহিত কাস্তাসমাগমরূপ সুধায়