পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

❖ » ጫ সর্বপ্রাণীর হিতৈষী কাত্যায়ন এই কথা বলিয়া যত্নপূর্বক আমাকে শালসমাদানময়ী বুদ্ধি প্রদান করিলেন । ৫৮ ৷ কালক্রমে আমি কালের বশগত হইয়া এই দশা প্রাপ্ত হইয়াছি দিবরাত্রি আমি তপ্তাঙ্গারবর্ষ ও সুধীবর্ষে কীর্ণ হইতেছি । ৫৯ ৷ রাত্রিকালে শীলসমাদানের ফল ও দিবাভাগে হিংসার ফল পাইতেছি । পুণ্য ও পাপ উভয়েরই ফল সুখ ও দুঃখরূপে আসিতেছে । ৬০ ৷ হে সখে আমি পাপাচারী আমার প্রতি কৃপা করিয়া স্বদেশে গমনপূর্বক আমার বাক্যানুসারে নির্জনে আমার পুত্রকে বলবে যে আমার গৃহকোণে একটা সুবর্ণপূর্ণ পাত্র প্রোথিত আছে সেইটী উদ্ধত করিয়া পাপবৃত্তি পরিত্যাগপূর্বক প্রতিদিন পিণ্ডপাত দ্বার আৰ্য্য কাত্যায়নকে পূজা করিবে । শ্রোণকোটি কর্ণ তৎকর্তৃক বিনয়সহকারে এইরূপ কথিত হইয়৷ তথাস্তু বলিয়া তথা হইতে গমন করিলেন । ৬১-৬২-৬৩ । পরে যাইতে যাইতে তিনি পুনর্ববার আরও একটী দিব্য বিমান দেখিতে পাইলেন। বিমানটী রত্ন, পদ্ম ও লতায় শোভিত থাকায় দ্বিতীয় নন্দন কাননের ন্যায় হুন্দর ছিল । ৬৪ । ঐ বিমানে প্রভাতকালে দিব্যস্ত্রীসঙ্গত মূৰ্ত্তিমান অনঙ্গের ন্যায় একটা রত্নভূষিত পুরুষকে দেখিয়াছিলেন । ৬৫ ৷ সেই পুরুষও সেইরূপ প্রীতিসহকারে তাহার অতিথিসৎকার করিয়াছিল । তিনি সেইদিন সেখানেই যাপন করিয়াছিলেন। সেই দিন তাহার পক্ষে ক্লেশমধ্যে সুধাময় হইয়াছিল। ৬৬ ৷ অনন্তর পদ্মিনীপতি সূৰ্য্য আকাশরুপ বিমান হইতে পতিত হইলে ঘোর দুঃখময় অন্ধকাররাশি দ্বারা জগৎ পূর্ণ হইল। ৬৭। তৎপরে নিশাপতি অতি শীতল জ্যোৎস্না বিকীরণ করিতে করিতে পাণ্ডুরোগীর ন্যায় ক্রমে গৌরবর্ণ হইয়া দেখা দিলেন । ৬৮ ।