পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ভগবানও তাহার আশ্রমে গমন করিয়া মধুর ধৰ্ম্মকথা শ্রবণ করিয়া তাহার স্বাধ্যায়ের প্রশংসা করিতেন । ১৩০ ৷ ভিক্ষুগণ শ্রোণকোটিকর্ণের এইরূপ প্রশমসম্পদ দেখিয়া ভগবানকে পূর্ববৃত্তান্ত জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলিয়াছিলেন। ১৩১। পুরাকালে বারাণসীতে কাশ্যপনামক নিৰ্ব্বাণ ধাতু সম্যক সম্বন্ধ সমস্ত কৰ্ম্ম ক্ষয়বশতঃ পরিনির ত হইলে কৃকি নামক রাজা রত্ন দ্বারা চৈত্য নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। চৈত্যটা যেন তাহার পুণ্যরাশি প্রকাশ করিবার জন্য স্বয়ং স্বৰ্গ হইতে আসিয়া উদগত হইয়াছিল। ১৩২-১৩৩ ৷ ঐ চৈত্যের স্থপতিসংস্কার শাস্কার শীর্ণ হইলে কৃকিপুত্র রাজ্যলাভ করিয়া লোভবশতঃ ঐ চৈত্যে রক্ষিত ধন প্রদান করেন নাই । ১৩৪ ৷ অতঃপর একদিন উত্তরাপথ হইতে সমাগত একজন ধনী সার্থবাহ ঐ চৈত্যের জন্য পৃথিবীর তুল্যমূল্য একটা কর্ণভূষণ প্রদান করিয়াছিলেন । ১৩৫ ৷ কিছুকাল পরে পুনরায় আসিয়া প্রচুর ধন প্রদানপূর্বক ঐ সার্থ বাহ প্রণিধান করিয়াছিলেন যে তিনি যেন পুণ্যবান হন । ১৩৬ ৷ তিনিই এই শ্রোণকোটিকণ পুণ্যবলে মহৎপদ প্রাপ্ত হইয়াছেন। সেই জন্যই ইনি কর্ণভূষণ লক্ষণান্বিত হইয়াছেন। ১৩৭। ইনি প্রস্থানসময়ে মাতাকে পরুষ বাক্য বলিয়াছিলেন এজন্য ইহার মহাপরিশ্রম হইয়াছিল। ১৩৮। সৎকৰ্ম্মরূপ শুভ্রবর্ণ মহৎবস্ত্রের মধ্যে অসৎকৰ্ম্মরূপ সামান্য মাত্র কালিমাও স্পষ্ট দেখিতে পাওয়া যায়। ১৩৯ ৷ - সৎকাৰ্য্য সমন্বিত সত্ত্বোৎসাহ, প্রবাসসহিত ধৃতি, বিষমতরণ বিষয়ে সেতু স্বরূপ বীৰ্য্য, বিপদে অধিক কৃপা এবং পর্য্যন্তকালে শান্তিসমন্বিত প্রসাদময়ী বুদ্ধি এ সমস্তই পুণ্যপ্রাপ্তির মহাফল শালিনী পরিণতি । ১৪০ ৷