বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ २8१ } মণ্ডল আচ্ছাদিত করিয়া গগনমাগে আসিয়াছিলেন । তাহীদের আগমনে গগন নিরস্তর অর্থাৎ অবকাশরহিত হইয়াছিল । ১৫ । আকাশ হইতে, দিওঁ,খ হইতে এবং পৃথিবী হইতে সমাগত সকল ব্যক্তিই ক্ষণকালের জন্য সর্ববলোকের উপকারপরায়ণ, সর্ববাকারসম্পন্ন ও সর্বময়প্রকাশ ভগবানকে দেখিয়াছিল । ১৬ । জনগণ লোকলোচনের হর্যজনক, পুণ্য ও উৎসবের নিধান এবং তেজোনিধি ভগবানকে বিলোকন করিয়া অদ্ভুতরসে আপ্নত হইয়াছিল । ১৭ ৷ ভূমিপতি উদায়কর্তৃক কথিত, আশ্চৰ্য্যভূত ও মনোজ্ঞ কুমারের প্রভাব হৃদয়ঙ্গম করিয়া কৃতাঞ্জলি হইয়া দূর হইতে জগদগুরু কুমারকে প্রণাম করিয়াছিলেন । ১৮ । অনন্তর কুমার অবতীর্ণ হইলেন এবং প্রণয়সহকারে রাজা কর্তৃক সংপূজ্যমান ও আর্য্যজনগণ কর্তৃক অনুগম্যমান হইয় প্রভাদ্বারা দিয়ুখ উদ্ভাসিত করিয়া ন্যগ্রেীধরক্ষশোভিত রত্নভূমিতে প্রবেশ করিয়াছিলেন । ১৯ । ত্রিভুবনের শাস্ত কুমার তথায় রত্নপ্রভাচিত্রিত ও পাদপীঠসঙ্গত হেমময় সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। বোধ হইয়াছিল, যেন সূৰ্য্য সুমেরুপৰ্ব্বতে আরোহণ করিলেন । ২০ । রাজা নিজ মনোরথ ও প্রার্থনানুসারে উপস্থিত কুমারের মানসরূপ চন্দ্রের অমৃতপ্রবাহসদৃশ নয়ন বিলোকন করিয়া নির তিবশতঃ নির্নিমেষ হওয়ায় ক্ষণকাল ত্ৰিদশভাব প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । ২১ । রাজা অত্যন্ত হর্ষবশতঃ অশুদ্বারা নিরুদ্ধকণ্ঠস্বর হইয়া এবং হারস্থ রত্বে প্রতিবিম্ব ত কুমারকে হৃদয়মধ্যে প্রপিষ্ট করিয়া প্রীতিসহকারে বলিয়াছিলেন, ২২ ৷ সকলেই স্বভাবতঃ সন্তোষবশতঃ হিমাচলবৎ শীতল কুশলস্থলীতে