পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミレ* একদ। নাগবনের অধিপতি তথায় আগমন করিয়া জানুদ্বয় দ্বারা ক্ষিতিতল স্পশপূর্বক উপবিষ্ট হইয়া সভাসীন জগতীপতি মহারাজ প্রভাসের নিকট নিবেদন করিলেন। ১০ । মহারাজ দিব্য কান্তি একটা অদ্ভুত হস্তী আমরা পাইয়াছি। বোধ করি স্বৰ্গরাজ ইন্দ্রের ঐরাবত আপনার কীৰ্ত্তি শ্রবণ করিয়া ভূমিতে অবতীর্ণ হইয়াছে। ১১ । দেবতার ব্যবহারযোগ্য সেই হস্তটি আপনার দ্বারে উপস্থিত ; কৃপাপূর্বক একবার দৃষ্টিক্ষেপ করিলে কৃতাৰ্থ হই। প্রভুর দৃষ্টিপাত হইলেই ভূত্যের শ্রম সফল হয় । ১২। মহারাজ প্রভাস এই কথা শ্রবণ করিয়া অমাত্য সহ বহির্গত হইলেন ও গতিশীল কৈলাসপর্ণব সম হস্তীটীকে দ্বারদেশে দেখিলেন । ১৩ । উহার উৎকট মদগন্ধে তাকৃষ্ট ভ্রমরগণ গণ্ডদেশে বসিয়া গুনগুন ধ্বনি করিতেছে ; তাইতে বোধ হইয়াছিল যেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘণ্টিক৷ দ্বারা উহার গণ্ডদেশ অলঙ্ক ত করা হইয়াছে। হস্তাটা উপযুক্ত নানাবিধ তাভরণ দ্বারা ও সজ্জিত ছিল, একারণ সাক্ষাৎ বসন্তের ন্যায় সুন্দরাকৃতি হইয়াছিল। ১৪ । উহার বৃহদাকার দন্তের একদেশে শুগুটী বিন্যস্ত ছিল এবং চক্ষুদ্বয় মুদ্রিত থাকায় বোধ হইতেছিল হস্তী যেন বিন্ধ্যগিরির কদলীবন ও শল্ল কীবনের শোভা স্মরণ করিতেছে । ১৫ । সপ্তচ্ছদসদৃশ মদগন্ধশালী ঐ হস্তাটা দেখিয়া স্বতই বোধ হইতেছিল যে স্বয়ং বিন্ধ্যাচল তদীয় গুরু অগস্ত্যমুনির আজ্ঞানুসারে কুঞ্জররাজরূপ ধারণ করিয়াছেন। ১৬। ক্ষিতিপতি স্তম্ভাকৃতি দন্তদ্বয়ে ভূষিত সেই হস্তীটা দেখিয় তাহাকে লক্ষীর বাসভবন বলিয়া জ্ঞান করিলেন ও অত্যন্ত বিস্মিত হইয় ভাবিতে লাগিলেন । ১৭ ।