বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@《心 হতবুদ্ধি জনগণ অনুরাগে মোহিত হইয়া এই দেহের সঙ্গমকালে এই স্তনমণ্ডলে লীন হইয়া পরম নিৰ্বতি লাভ করিত। এখন শৃগাল ইহার ক্লেদ দেখিয়া খাইতে চায় না; সেও মুখ বক্র করিয়া দূরে যাইতেছে । ৫৭ ৷ এইরূপ চিন্তা করিয়া গাঢ় বৈরাগ্য-বাসন উদিত হওয়ায় যশোদ উদ্যানে না গিয়া নিজ গৃহে ফিরিয়া গেলেন। ৮ে। ইত্যবসরে দিবাকর দিবসের স্নানতা-দর্শনে খিন্ন হইয়া যেন নীরস লোক-বৃত্তান্ত দেখিয়াই প্রশমোন্মুখ হইলেন। ৫৯। রবি সকল আশা (অর্থাৎ দিক এবং আকাঙক্ষা ) পরিত্যাগের উপযুক্ত প্রশম প্রাপ্ত হইয়া সন্ধ্যরূপ রক্তবস্ত্র পরিধান করিলে যেন তাহার প্রব্রজ্য গ্রহণ করা বোধ হইল । ৬০ ৷ ত্রিভুবনের চক্ষুঃস্বরূপ সূৰ্য্য লোকান্তরে গেলে বাসরও পৃথিবীলোক ত্যাগ করিয়া ভঁাহার অনুগামী হইলেন। ৬১ | তৎপরে জগদ্বাসী নূতন তিমিরোদগমে উদ্বিগ্ন হইলে প্রদীপমণ্ডলের আলোক যেন কৃপাপূর্বক সে উদ্বেগ নিবারণ করিল। ৬২ ৷ - এমন সময়ে শাস্ত স্বয়ং যশোদের প্রতি দয়াবশতঃ র্ত{হার সহিত দেখা করিবার জন্য পুরনদীর পরপারে আসিলেন । ৬৩। যশোদও পুনঃ পুনঃ দিবাবসান-তুলনায় সংসারের অসারত ভাবিয়াই শয্যাগৃহে গেলেন এবং তথায় নিজ ললনাগণকে বেণু, বীণা ও মৃদঙ্গাদি বিনোদনে মত্ত হওয়ায় শ্রমবশতঃ নিদ্রিত দেখিলেন ।৬৪-৬৫ । কেহ বা বীণার উপর বদন বিন্যস্ত করিয়া, কেহ বা মৃদঙ্গোপরি হস্ত অপিত করিয়া যেন সুখ অনিত্য বলিয়া দুঃখ-চিন্তায় নিরত হইয়াছে। যশোদ ঐ সকল স্রস্তবসন ও মৃতীবৎ নিশ্চল ললনাগণকে দেখিয়া অধিকতর বৈরাগ্যোদয় হওয়ায় বহুক্ষণ চিন্তা করিলেন। ৬৬-৬৭। অহো ! পরিণামে বিরস এবংপ্রকার বধূনামক বিষয়ে মুগ্ধ জনগণ