বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qや> স্বাগ্রোধকল্প সুবর্ণবর্ণ কন্যা পাওয়া গিয়াছে, এই কথা বন্ধুর মুখে শুনিয়া মহা আনন্দিত হইলেন। ২৮। পিপ্পলায়ন কন্যাটি ব্রহ্মচৰ্য্যাভিলাষিণী শুনিয়া নিজেই যাচক-বেশে কপিলের গৃহে গেলেন। ২৯। তিনি তথায় অতিথিসৎকার লাভ পূর্বক কন্যাটিকে দেখিয়া এবং তাহাকে ব্রহ্মচৰ্য্যার্থিনী জানিতে পারিয়া পূর্ণমনোরথ হইয়া বলিলেন।৩০। হে কল্যাণি ! আমি ব্রহ্মচৰ্য্যাভিলাষী পিপ্পলায়ন নামক ব্রাহ্মণ । আমারই জন্য সেই ব্রাহ্মণ যত্নসহকারে তোমায় প্রার্থনা করিয়াছেন ॥৩১ আমি বিবাহে অনিচ্ছুক, কিন্তু পিতার অত্যন্ত প্রার্থনায় এ কার্য্য করিতেছি । হে ভদ্রে । তুমিও আমারই ন্যায় বিবাহ-বিমুখী। ভাগ্যক্রমে তুল্যসমাগমই হইয়াছে। ৩২ ৷ ভদ্রা পিপ্পলায়নের এই কথা শুনিয়া হর্ষসহকারে তাহাকে বলিলেন,—আমাদের এ বিবাহ কোনরূপ বিরুদ্ধ নহে। ইহাতে শম ও সংযমের কোন হানি হইবে না । ৩৩ ৷ - তৎপরে পিপ্পলায়ন সমুচিত পত্নীলাভে হর্ষ ও উৎসাহে পূর্ণ হইয় নিজ ভবনে গমন পূর্বক পিতার কথায় সম্মত হইলেন। ৩৪ ৷ কপিলও অনন্ত ধনশালী অন্বেষণ করিয়া পিপ্পলায়নকেই রত্নালঙ্কত কন্যা প্রদান করিলেন । ৩৫ ৷ মহাসমারোহে তাহাদের বিবাহোৎসব সমাধা হইলে সেই সমাগমে ব্ৰহ্মচৰ্য্য লোপ হইল না এবং কোন প্রকার মনের বিকারও হইল إراك | lة সংযমশীল বর-বধুর সৌন্দৰ্য্য ও যৌবন সত্ত্বে ও কন্দপের আজ্ঞা ভঙ্গ হওয়ায় তাহার প্রভাবের হানি হইল। ৩৭ ৷ র্তাহারা পর্য্যায়ক্রমে একজন নিদ্রিত হইলে একজন জাগরিত থাকিতেন । এইরূপে র্তাহারা শয়নকালে স্পর্শ রক্ষা করিতেন । ৩৮ |