পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@b"*} প্রতারিত করায় অবশেষে রাজা তাহাই যুক্তিযুক্ত বলিয়া বোধ করিলেন । ১৮১ । তৎপরে যজ্ঞকার্য্যের আয়োজন আরম্ভ হইলে এবং পুষ্করিণী কাটিয়া তাহ পশু-শোণিত দ্বারা পূর্ণ করা হইলে রাজা স্বয়ং একান্তে মহিষীর নিকট এই বৃত্তান্ত জানাইলেন। মহিষী একে পুত্রের প্রবাস জন্য শোকাতুর ছিলেন, তাহার উপর এই পাপ-কথা শুনিয়া ভাবিতে লাগিলেন । ১৮২-১৮৩ । অহো ! মুখ রাজা মোহান্ধ পুরোহিতের প্ররোচনায় স্ব ষ-বধরূপ মহাপাপে উদযুক্ত হইয়াছেন। বিধাতৃবিহিত মৃত্যুকাল উপস্থিত হইলে বহু প্রযত্ন দ্বারাও উহা নিবারণ করা যায় না । মূর্থেরাই পরের প্রাণনাশ দ্বারা নিজ জীবন ইচ্ছা করিয়া থাকে । ১৮৪-১৮ ৫ । রাজা যদি নিজ জীবন-লোভে মুগ্ধ মৃগ-বধূসদৃশী নিজ ম্যাকে হত্য করেন, তাহা হইলে আমি পুত্রকে কি বলিব ? ১৮৬। “মা ! তুমি আমার প্রতি বাৎসল্যবশতঃ আমার মনোহরাকে । পালন করিও”, এই কথা বলিয়া বাছা স্থধন আমার হস্তে বধূকে দিয়া গিয়াছে । ১৮৭ ৷ অতএব মনোহর আমার নিকট হইতে চূড়ামণিটি লইয়া আকাশমাগে চলিয়া যাউক । সে জীবিত থাকিলে কোন সময়ে তাহার পতির সহিত পুনঃ সঙ্গম হইবে । ১৮৮ ৷ মহিষী এইরূপ চিন্তা করিয়| সজলনয়নে স্বষার নিকটে গিয়া এবং রাজার ব্যবহারের কথা তাহাকে বলিয়া সভয়ে পুনর্বার বলিলেন।১৮৯ । বৎসে ! তুমি চূড়ামণিটি লইয়৷ শীঘ্র আকাশমার্গে চলিয়া যাও । রাজা পাপকাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, তিনি সদাচার দেখিতে ছেন না । ১৯e {