r t t q so l অত্যধিক প্রজ্বলিত কামানলের ধূমসদৃশ শুীমবৰ্ণ বেণীধারিণী, শশাঙ্কের সৌন্দর্য্য-দপ-নাশিনী, হরিণনয়ন কোনও কিন্নরকে এখানে আপনি দেখিয়াছেন কি ? ২৫০ ৷ মুনি কাস্তাবিযুক্ত ও উন্মাদ-দশপ্রোপ্ত স্বধনের এই কথা শুনিয়া এবং তাহাকে চিনিতে পারিয়া বলিলেন । ২৫১ । আশ্বস্ত হও, বিশ্রাম কর এবং মনস্তাপ ত্যাগ কর, তোমার মানস, চন্দ্রিক কল্যাণী মনোহরাকে আমি দেখিয়াছি । ২৫২ । তিনি যুথভ্রষ্টা করিণীর ন্যায় এবং পাশবদ্ধ হরিণীর ন্যায় জীবনে নিরাশ হইলেও তোমার আশায় জীবন ধারণ করিতেছেন। ২৫৩ ! র্তাহার বদনকমল তদীয় পাণি তলেই শয়ন করিয়া থাকে এবং তিনি পল্লবাস্তরণে শয়ন করেন । র্তাহার দেহ এত দুর্বল যে, একটা অপ্রিয় কথা শ্রবণমাত্রেই দেহ নাশ হইতে পারে । ধৈর্য্য আশাবন্ধনে র্তাহাকে বাধিয়া রাখিয়ছে ; কিন্তু তোমার বিরহে তিনি এত ব্যাকুল হইয়াছেন যে, তাহার মন কোথায়ও বিশ্রাম পাইতেছে না। ২৫৪ । তিনি তদীয় পিত। কিন্নররাজ দ্রুমের ভবনে আছেন এবং তোমাকে তথায় সত্বর যাইতে বলিয়াছেন । ২৫৫ ৷ যাহারা বীৰ্য্য, বল, উপায়, ধৈর্য্য ও উৎসাহসম্পন্ন, তাহদেরও অগম্য কিন্নরপুরে যাইবার ক্রমিক পথ তিনি বলিয়া গিয়াছেন । ২৫৬ । এই রত্নাঙ্গুরীয়টি তোমার জন্য তিনি দিয়া গিয়াছেন । ইহার স্নিগ্ধ প্রভাদ্বারা চতুর্দিকু পিঙ্গলবর্ণ হয় । ২৫৭ । মুনি এইপ্রকার আনন্দরূপ স্বধাদ্বারা সিক্ত ও সুধনের ধৈর্য্যাবলম্বনপ্রদ বাক্য বলিয়া অঙ্গুরীয়টি প্রদানপূর্বক পথের কথা বলিয়া দিলেন । ২৫৮ । ধীর সুধন মুনি-কথিত পথে এবং তৎকথিত উপায় দ্বারা উত্তরদিক্ লক্ষ্য করিয়া যাইতে আরম্ভ করিলেন । ২৫৯ ।
