বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২১ ] তৎপরে শারিপুত্ৰ সদাচার শিক্ষা দিয় তাহাকে প্রব্রজিত করিলেন এবং নিখিল ধৰ্ম্মাগমচতুষ্টয় অধ্যাপন করাইলেন । ৮। একদা সঙ্ঘরক্ষিতের সমবয়স্ক বন্ধু পঞ্চ শত বণিকপুত্র সমুদ্রগমনের জন্য র্তাহাকে প্রার্থনা করায় তিনি তাহাদের শুভানুধ্যায়ী হইয়৷ প্রবহণে আরোহণ করিলেন। ভয়কালে ধৈর্য্যাবলম্বন করাই উচিত, এইরূপ গুরুবাক্যই তিনি গ্রহণ করিয়া গমন করিলেন । ৯-১০ । অতঃপর সমুদ্রমধ্যে সেই প্রবহণ সংরুদ্ধ হওয়ায় বণিকৃগণ ভয়ে ক্ৰন্দন করিতে লাগিল। তখন জল হইতে বাক্য উচ্চারিত হইল যে, “যদি তোমরা প্রবহণের মুক্তি ইচ্ছা কর, তাহা হইলে এই সঙ্ঘরক্ষিতকে সত্বর জলে ক্ষেপণ কর ।” ১১-১২ । এই কথা শুনিয়া প্রাণসংশয়কালে তাহদের সকলেরই একমত হইল যে, বরং আমাদের নিধন হয় হউক, কিন্তু সাধু বন্ধুর বধ করা হইতে পারে না । ১৩ । সঙ্ঘরক্ষিত এইরূপ বিষম প্রাণ-সংশয়কালে কৃপাবশতঃ তাহীদের রক্ষার জন্য নিজে সমুদ্রে পতিত হইলেন এবং নাগগণের সহিত নাগভবনে গিয়া তত্রস্থ পূর্বসংবুদ্ধকৃত প্রাচীন চৈত্য বন্দন করিয়া দৃষ্টিবিষ, নিশ্বাসবিষ, দন্তবিষ ও স্পর্শবিষ প্রভৃতি নানাজাতীয় নাগগণের চিন্তায় কৃশ হইয় তাহাদের চিরাfভলষিত ধৰ্ম্মদেশনা করিলেন । ১৪—১৬। তিনি অত্যন্ত বিরক্তি জন্য উদ্বিগ্ন ও স্বদেশ-গমনে উৎসুক হওয়ায় নাগগণ ক্ষণ কালমধ্যে র্তাহাকে সেই বণিকৃদিগের প্রবহণে দিয়া আসিল । ১৭ । বণিকৃগণ যেন পরলোক হইতে সমাগত সঙ্ঘরক্ষিতকে পাইয়। অতি হৃস্ট হইয় প্রবহণ ফিরাইয়। মহোদধিতীরে অসিলেন । ১৮ । তাহার গৃহোৎকণ্ঠাবশতঃ অতি সত্বর যাইতেছিলেন, এজন্য তাহারা বালুকাময় সমুদ্রতটে নিদ্রিত সঙ্থরক্ষিতকে বিস্মরণবশতঃ