বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હરદ્ર ] তিনি ভাবিলেন, এই মুনি-সভা সংসারচক্রে পরিবর্তিত হইয়। মিথ্য ব্রতঁ ও তপঃক্লেশ ভোগ করিতেছে। ৫২ ৷ অবিদ্য৷ অর্থাৎ মিথ্যাঙ্গান জন্য সংস্কারবশতঃ বাহা বিষয়-জ্ঞান ও নমরূপতা অর্থাৎ দেহাত্মজ্ঞান হয়। ষড় বিধ ইন্দ্রিয়ের সংস্পর্শে বিষয়জ্ঞান ও আকাঙ্ক্ষার উদয় হয়। বিষয়-বাসনা দ্বারা সংসারে জন্ম, মৃত্যু, জরা ও দুঃখ হইয়া থাকে। মনুষ্যগণের এইরূপ দুঃখময় অবস্থাই অত্যন্ত বৃদ্ধি পাইতেছে । র্যাহারা প্রশান্ত মনীষী, তাঙ্গাদের অবিদ্যাদি ক্রমে এক একটির নিরোধের দ্বারা পর পর সকলগুলিই লয় প্রাপ্ত হয় । ৫৩–৫৫ } সঙ্ঘরক্ষিত এইরূপ নিশ্চয় করিয়া তাহাদের সম্মুখে তদুপযুক্ত ধৰ্ম্মদেশনা করিয়া পুনশ্চ তাহাদিগকে এই কথা বলিলেন । ৫৬। র্যহাদের চিত্ত মৈত্রীগুণে পবিত্র এবং জীবন সদ্ধৰ্ম্মন্ধর বিশুদ্ধ, এরূপ পুনর্জন্ম-রহিত সমুন্নত মহাজনের নিঃশোকভাব সকলেরই বাঞ্ছনীয়। ৫৭ ৷ এই পৃথিবীতে, আকাশে ও নাগলোকে যত প্রাণী আছে, তাহা দিগকে আমি বন্ধুভাবে প্রণয়-বাক্য দ্বারা প্রার্থনা করিতেছি, তোমরা হৃদয়কে মৈত্রীর পত্র কর ও ধৰ্ম্মবুদ্ধি অংশয় কর । বিষম অন্ধকারে ধৰ্ম্মের তুল্য অন্য দীপ নাই । ৫৮ এই কথা বলিয়! তিনি রক্ষমূলে পৰ্য্য ক্লাসনে উপবিষ্ট হইয়া সেই স্থানে স্বতঃ প্রকাশমান অহৎভাব অবলোকন করি লেন ৷ ৫৯ ৷ মুনিগণ র্তাহাকে বললেন,—হে ভদন্ত ! অামাদিগকে শাক্য মুনির স্থানে লইয়া যান। তিনি ধৰ্ম্মবিনয় ভালরূপে উপদেশ করিলে আমরা প্রব্রজ্য প্রার্থনা করিব । ৬০ । তাহারা এইরূপ প্রার্থনা করায় মহাদ্ধশালী সঙ্ঘরক্ষিত মুনিগণকে