পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৩১ ] স্থল ও হিমশিলার স্যায় উজ্জ্বল তোমার কণ্ঠস্থিত অক্ষমালা দ্বার বেশ শোভ হইয়াছে। তোমার হস্ত এই বক্রাকৃতি বেণুদণ্ডে বিচিত্র কুশনিৰ্ম্মিত পবিত্র দ্বারা নব-পল্লব-মালা গ্রথিত করিতেছে। এরূপ রমণীয় ব্রতধারী তুমি, তোমার আশ্রম কোথায়, বল। আমার মন মৃগাকীর্ণ বনে থাকায় শ্রান্ত হইয়াছে । তোমার আশ্রমে গিয়া বিশ্রান্তি পাইবে বোধ হইতেছে । ২৭—৩২ । রাজা এইরূপ সুধীর ন্যায় সুস্বাদু মুগ্ধার বাক্য আস্বাদন করিয়৷ র্তাহার নিজ পাথেয় মোদক কন্যাকে দিয়া বলিলেন,—হে সুভ্ৰ ! এইরূপ কুশসূচীসমাকীর্ণ, শুঙ্গ তরু ও তৃণময় বনমধ্যে তোমার এই কোমল দেহ থাকিবার যোগ্য নহে। এখান হইতে অনতিদূরে আমার অtশ্রম । তথায় অনেক সম্ভোগযোগ্য শোভা আছে এবং এইরূপ ফল বহুতর সেখানে পড়িয়া নস্ট হয়। তথায় তুমি বাস কর এবং মন্মথের তপস্যা কর । আমাকে তোমার সম্ভোগের পরিচর্য্যায় নিযুক্ত কর । ৩৩-৩৬ । মহাদেব যখন কুপিত হইয়াছিলেন এবং তাহার নয়নাগ্নিতে মদন পতঙ্গের ন্যায় ভস্মীভূত হইয়াছিলেন, বোধ হয় বিধাতা তখন তাহার নূতন রকম জীবোৎপাদন করিয়াছিলেন, পৃথিবস্থিত চন্দ্রকলা-কোশসদৃশ ও পুণ্যপ্রাপ্য তোমার এই কমনীয় দেহ মন্মথ হইতে অভিন্ন ও লাবণ্যের নিধিস্বরূপ । ৩৭ ৷ মুগ্ধ মুনিকস্য বিদগ্ধ রাজার এইরূপ কথা শ্রবণ করিয়া এবং চন্দ্রের ন্যায় শুভ্ৰ মোদকটি খাইয় তাহকে বলিল। ৩৮ ৷ আমি তোমার ব্রতই করিব এবং তোমার আশ্রমে বাস করিব। ক্ষণকাল প্রতীক্ষা কর, আমার পিতার আজ্ঞা প্রার্থনা করি। ৩৯ ৷ মুনিকন্যা এই কথা বলিয়া নিজ আশ্রমে গিয়া নবাভিলাষবশতঃ বিবশী হইয়। দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগপূর্বক মুনিকে বলিলেন । ৪০।