বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N) উৎপলাবতী নগরীতে দানশীল ও দয়াসমন্বিত রুক্মবতী নামে একটি বিখ্যাত ধনিকন্যা ছিল । ৬ । রুক্মবতী এক দিন দেখিল যে, একটি সদ্যঃপ্রস্থত। দরিদ্র-কন্য। ক্ষুধাবশতঃ রাক্ষসীর ন্যায় নিজ শিশু সন্তানকেই খাইতে উদ্যত হইতেছে ৷ ৭ ৷ তিনি উহাকে দেখিয়া করুণাবশতঃ মনে মনে ভাবিলেন সে, আহে । নিজ দেহে স্নেহবশতঃস্ট লোকের মতি পাপে প্ররক্ত হয় । ৮ । যদি আমি ইহার ভোজনদব্য আহরণ জন্য স্বগৃহে সাই, তাহ হইলে এই ক্ষুধার্তা রমণী নিশ্চয়ই নিজ সন্তানকে ভক্ষণ করিবে । ৯ । অথবা যদি শিশুটি লইয়াই যাই, তাঙ্গ হ’লে এই রুশ রমণী সদ্য প্রাণত্যাগ করিবে ! ১০ । রুক্সপত। এইরূপ উভয়-সঙ্কটের বিষয় চিন্ত। করিযা ও দয়াবশতঃ জগজ্জনের উদ্ধার উদ্দেশ্রে প্রণিধান করিয়া নিজ হস্তে নিশ্চলভাবে শাণিত অস্ত্রদ্বারা স্তনদ্বয় ছেদনপূৰ্ব্বক ঐ রমণীর জীবন-ধারণের জন্য তাহাকে দান করিলেন । ১১–১২ ৷ রুক্মবতীর এই বিখ্যাত যশঃদ্বারা ত্রিভুবন আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইলে ইন্দ্র বিপ্ররূপ ধারণ কবিয়া তথায় আগমনপূৰ্ব্বক তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন,—অয়ি ! তোমার এই স্তনচ্ছেদন পূৰ্ব্বক দানকার্য্যে মনে কোনরূপ বিরুতি হইয়াছিল কি ? সত্যবদিন। সতী রুক্মবতী ইনকর্তৃক এইরূপ জিজ্ঞাসিত হইয়া বলিলেন যে, ঘদি এই স্তনদান-কার্য্যে আমার মনে লেশমাত্র বিকার না হইয়া থাকে, তাহ হইলে এই মহা সত্যদ্বারা আমার স্ত্রীভাব নিরক্ত হউক : ১৩—১৫ ।