বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 87२ { ক্রমে যুদ্ধ প্রবর্তিত হইলে এবং নানা গজ, অশ্ব ও রথের ক্ষয় হইলে রাজা অদীনপুণ্য কারুণ্যবশতঃ উদ্বিগ্ন হইয়া চিন্তা করিলেন । ৯ । শত অধৰ্ম্ম যুক্ত এই ক্ষত্ৰিয়-ধৰ্ম্ম অত্যন্ত বিষম । এই ক্ষত্ৰিয়ধৰ্ম্মে প্রাণিবধ ও ক্রুরতা ধৰ্ম্ম বলিয়া অভিহিত হয় । ১০ । ক্ষত্রিয়গণের রুধির-দিগ্ধ ও মলিন ধৰ্ম্মে ধিক । আমার জন্যই এরূপ প্রযত্ন করা হইতেছে , অতএব আমার জীবিত থাকা উচিত নহে । ১১ । মনুষ্যগণের দেহ বিনশ্বর, শত বিপদে শীৰ্য্যমাণ ও নিত্যই দুঃখোচ্ছাসে অধৈৰ্য্য। ভোগ-সুখ চিরস্থায়ী নহে ; কিছুক্ষণ পরেই উহ। স্মরণাবস্থা প্রাপ্ত হয়। অতএব ক্ষণকালের জন্য সামান্য সুখের আশায় প্রাণিহিংসার জন্য প্রসতু করা বড়ই কষ্টকর। ১২ । অতএব আমি হিংসা ও অপায়ের নিকেতনস্বরূপ ও অধৰ্ম্মবহুল এই রাজ্য পরিত্যাগ করিয়া তপোবনে গমন করিতেছি । ১৩। অজ্ঞানমূঢ় রাজগণের বধ ও বন্ধন-শত দ্বার। অর্জিত ও পাপবহুল সম্পদকেও কাল নিশ্চয়ই গ্রাস করিবে । ১৪ । অচিন্তনীয় বলবান কাল, সংসারের গা মোহে হতবুদ্ধি এবং স্থির আশা-বন্ধ দ্বারা বিষয় সুখপ্রত্যাশী পুরুষগণের প্রত্যেকেরই বিনাশ বিধান করিতেছেন এবং সকলেরই কায্যের পম্যবেক্ষণ করিতেছেন । ১৫ । রাজ। অদীনপুণ্য এইরূপ চিন্তা করিয়। ও হিংসা-পাশ হইতে পরাভূখ হইয়। রাত্রিকালে দণ্ড ও বঞ্চল গ্রহণপূৰ্ব্বক তপোবনে চলিয়া গেলেন । ১৬ । তৎপরে মন্ত্রিগণ রাজার তপোবন-গমন শ্রবণ করিয়া, তাহ লোকমধ্যে প্রকাশ না করিয়া যুদ্ধ করিতে লাগিলেন। তাহার শরবর্য ও গর্জনকার রিপুকে বলিলেন যে, হে মত্ত মাতঙ্গ,