পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ sov ) বৎস! উঠ। তোমার অভিলষিত সিদ্ধির একটি পরম উপায় আমি লাভ করিয়াছি। ইহাতে অবিলম্বেই তোমার ফললাভ হইবে। ৬৩। আমার মস্তক ছেদন করিয়া রাজা ব্ৰহ্মদত্তকে গিয়া দেও। তিনি গ্রীত হইয়া তোমাকে প্রচুর ধন দিবেন। ৬৪ । ব্রাহ্মণ অর্থগণের পক্ষে চন্দনতরুসদৃশ রাজার এই কথা শুনিয়া কর্ণপ্রবিষ্ট তপ্ত সূচী দ্বারা যেন বিদ্ধ হইয়া বলিলেন । ৬৫ ৷ আপনি ত্ৰৈলোক্যের সার এবং জগতের পুণ্যে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। এমন কে পাপচারী শঠ আছে যে, আপনার কণ্ঠে অস্ত্র নিপাতিত করিবে ? ৬৬। এমন কে লুব্ধমতি আছে যে,আপনার অহিত চিন্তা করিবে? অঙ্গার করিবার জন্য সহকার-বৃক্ষকে ছেদন করিয়া কে ক্ররত করে ? ৬৭। ব্রাহ্মণ এই কথা বলিলে রাজা বলিলেন,—তবে আমাকে জীবিত অবস্থায় বাধিয়। সেই শক্রর নিকট লইয়া যাও । ৬৮। রাজা যত্নসহকারে প্রার্থনা করায় ব্রাহ্মণ রাজাকে বধিয়া শক্ৰ হইতে ভীত রাজা ব্ৰহ্মদত্তের নিকট লইয়া গেল । ৬৯ ৷ ব্ৰহ্মদত্ত ব্রাহ্মণকর্তৃক আনীত রাজা অদীনপুণ্যকে গ্রহণ করিয়া ব্রাহ্মণকে বাঞ্ছিতাধিক ধন প্রদান করিলেন এবং উহাকে নিজ উন্নত সিংহাসনে বসাইয়। নিজ মস্তকের উষ্ণীষ তাহার পদতলে স্থাপিত कब्रिएलन । १०-१> । ব্ৰহ্মদত্ত নিজ রাজধানীতে চলিয় গেলে অদীনপুণ্য শক্রহীন নিজ রাজ্য পুনঃপ্রাপ্ত হইয়া কীর্তিসদৃশ ধবল সমুদ্রের ফেণমালারূপ দুকুলবেষ্টিত পৃথিবী ধৰ্ম্মানুসারে শাসন করিতে লাগিলেন। ৭২। আমিই সেই ত্রিভুবনসার অদীনপুণ্য ছিলাম। আদ্য আমার র্তাহার চরিত-কথা স্মরণ হইল। কালক্রমে এই ভূমি বহুতর সঙ্গগণের বিহারদ্বারা রমণীয় ও সংসারের মুক্তির হেতু হইবে। ৭৩।