যদি বলেন, তোমার ঠিকানা জানি না, উত্তর লিখিয়া কোথায় পাঠাইব। তাহার উত্তর এই, আপনি, যাঁহাদের মন যোগাইবার নিমিত্ত, এই দেবদুর্লভ ব্যবস্থা লিখিয়াছেন, আমার প্রশ্নের উত্তর লিখিয়া, সেই সাধুসমাজের অগ্রগণ্য, বিদকুটে ধন্য, বেয়াড়া মান্য, অসামান্যবুদ্ধিবিদ্যাসম্পন্ন মহাপুরুষদিগের নিকটে পাঠাইবেন। তাঁহারা যখন, দেশের ধর্ম্মরক্ষার জন্য, কোমর বাঁধিয়াছেন, তখন আপনকার উত্তর মুদ্রিত ও প্রচারিত করিতে কখনই পরান্মুখ হইতে পারিবেন না, যদি এতাদৃশ দেশহিতকর বিষয়ে পরান্মুখ হন, তাহা হইলে, তাঁহারা, নিঃসন্দেহ, মহাপাতকগ্রস্ত ও অন্তে অবধারিত অধোগতি প্রাপ্ত হইবেন। যদি না হন, আমি যেন উচ্ছন্ন যাই।
খুড় মহাশয়ের এই অপূর্ব্ব ব্যবস্থা দেখিয়া, কতকগুলি অবোধ, অর্ব্বচীন, বানরকল্প, অল্পদর্শী লোকে বলিতে আরম্ভ করিয়াছে,
হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র পাত্র,
যেমন পোড়ামুখ দেবতা তেমনই ঘুটের ছাই নৈবেদ্য।
অর্থাৎ, শ্রীমতী যশোহরহিন্দুধর্ম্মরক্ষিণী সভা যেমন অপূর্ব্ব বিচারালয়, শ্রীমান্ বিদ্যারত্ব খুড় তদুপযুক্ত ব্যবস্থাদাতা। তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ আহলাদ করিয়া, আমার কাছও, ঐরূপ নানা কথা, নানা রঙ্ চড়াইয়া, বলিতে আরম্ভ করিয়াছিল। আমি কিন্তু তাহাদিগকে দূর দূর করিয়া তাড়াইয়া দিয়াছি। ইহাতে, শ্রীমান নদিয়ার চাঁদ