পাতা:ব্রাহ্মণ-রোমান-ক্যাথলিক-সংবাদ - দোম আন্তোনিও দো রোজারিও.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রস্তাবনা
১৷৷৴৹

জবাব দিয়াছেন তিনিও বই তিনখানি-সম্বন্ধে কোন সংবাদ দিতে পারেন নাই। পরলোকগত প্রসিদ্ধ পণ্ডিত হেনরী বেভারিজ হস্টেন সাহেবকে লেখেন যে, ব্রিটিশ মিউজিয়মে উল্লিখিত পুস্তকত্রয়ের একখানিও নাই। অগত্যা হস্টেন সাহেব বেলজিয়মের কন্‌সালের মারফতে পর্ত্তুগালে অনুসন্ধান আরম্ভ করেন। তাহার ফলে তিনি পর্ত্তুগালের পররাষ্ট্র-বিভাগের (Ministerio dos Negocios Estrangeiros) সেনর গনসালভিস তেসিরার নিকট জানিতে পান যে, এভোরার সাধারণ পুস্তকালয়ে রক্ষিত তিনখানি বাঙ্গালা পুস্তকই হাতে লেখা, সুতরাং মুদ্রিত পুস্তকের সন্ধান করা নিষ্প্রয়োজন ও অপ্রাসঙ্গিক। বস্তুতঃ হস্টেন সাহেব যাহাদিগকে পুস্তকের খোঁজ লইতে অনুরোধ করিয়াছিলেন, তাঁহারা কেহই এ বিষয়ে তেমন যত্ন বা পরিশ্রম স্বীকার করেন নাই। কারণ ১৯১৯ সালে অধ্যাপক শ্রীযুক্ত সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ব্রিটিশ মিউজিয়মেই আসুম্পসাঁওর বাঙ্গালা ব্যাকরণ ও শব্দকোষ পাইয়াছিলেন। ১৯৩১ সালে তাঁহার ও অধ্যাপক প্রিয়রঞ্জন সেন মহাশয়ের সম্পাদকতায় ঐ গ্রন্থ বঙ্গানুবাদ সমেত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্ত্তৃক প্রকাশিত হইয়াছে। ১৯২৬ সালে এই পুস্তকের আর একখানি আমি এভোরায় দেখিয়াছি। “ক্রেপার শাস্ত্রের অর্থভেদের” একাধিক সংস্করণ হয়। প্রথম সংস্করণ ১৭৪৩ সালে লিস্‌বনে ফ্রান্সিসকো দা সিলভা কর্ত্তৃক প্রকাশিত হয়। ১৮৩৬ সালে চন্দননগরের ফরাসী পাদ্রী ফাদার গেঁরা (Guerin) শ্রীরামপুর হইতে এই পুস্তকের পরিশোধিত ও পরিবর্দ্ধিত সংস্করণ বাহির করেন। ১৮৬৯ সালে গোয়ার সন্নিহিত মারগাঁও সহরে ক্রেপার শাস্ত্রের অর্থভেদ তৃতীয় বার মুদ্রিত হয়।[১] লিস্‌বনের জাতীয় গ্রন্থালয়ে (Bibliotheca Nacional) প্রথম ও তৃতীয় সংস্করণের পুস্তক আছে। এভোরার পুথিতে দোম আন্তোনিয়োর সমগ্র গ্রন্থ থাকিলেও আসুম্পসাঁওর দুইখানি পুস্তকের কিয়দংশ মাত্র আছে। সুতরাং গনসালভিস তেসিরা ফাদার হস্টেনকে যে খবর দিয়াছিলেন তাহাও একেবারে অভ্রান্ত বলা যায় না। যাহা হউক, হস্টেন সাহেব সহজে নিরুদ্যম হইবার লোক নহেন। অনেক পরিশ্রমের পর তিনি বঙ্গীয় এশিয়াটিক সোসাইটিতে “ক্রেপার শাস্ত্রের অর্থভেদের” প্রথম সংস্করণের একখানি খণ্ডিত পুস্তক পাইয়াছেন। এই পুস্তকখানির মলাট (title page)

  1. তৃতীয় সংস্করণের বই গোয়ার জাতীয় পুস্তকালয়ে নাই। এই সংস্করণ ভারতবর্ষে এমন দুস্প্রাপ্য হইবে অনুমান করিতে পারি নাই, নতুবা ইহার ভূমিকা ও নামপত্রও নকল করিয়া আনিতাম।