বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি দলকে পরিচালনা করবার ভার থাকবে সেনগুপ্তের উপর। স্বরাজ্য দলের যে বিশিষ্ট পাঁচজন নেতার কথা পূর্বে বলেছি, এবং র্যারা সে সময় Big Five নামে খ্যাত ছিলেন, তঁরা এ ব্যবস্থায় বেশ তুষ্ট হন নি ; কিন্তু প্ৰকাশ্য ভাবে কোন রকম বিরোধিতাও করেন নি । কিন্তু তা’ সত্ত্বেও বাংলা দেশ ক্রমশঃ তীব্র দলাদলিতে ভরে গেল। নৈষ্ঠিক অসহযোগীরা অনেকটা হীনবল হয়ে পড়ে ছিলেন বটে, কিন্তু স্বরাজ্য দলটি ভাগ হয়ে গেল সেনগুপ্ত সাহেবের দলে আর Big Five এর দিলে। তার উপর বীরেন্দ্ৰ শাসমলের নেতৃত্বে আরও একটা ছোট্ট দল গড়ে উঠেছিল, যারা মনে করতেন যে, দেশবন্ধুর অবর্তমানে শাসমলের উপরই বাংলার নেতৃত্বভার পড়া উচিত छिन । জেল থেকে খালাস পাবার পর সুভাষচন্দ্ৰকে ফাঁপরে পড়তে হয়েছিল। কোন উপদলের নেতাদেরই বৈপ্লবিক দৃষ্টিভঙ্গী ছিল না ; সুতরাং কোন দলের সঙ্গেই র্তার ষোল আনা মনের মিল ছিল না । কিন্তু পারিবারিক ও অন্যবিধ কারণে সুভাষকে প্রথমত: Big Fiveােদর কাছ ঘেষেই থাকতে হতো। এদের সাহায্যেই তিনি আবার স্বরাজ্য দলের ছিন্ন সূত্রগুলো নিজের হাতের মুঠোর মধ্যে গুটিয়ে আনতে চেষ্টা করেছিলেন । ক’লকাতা করপোরেশন, প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটি, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক-সভা প্রভৃতি 98