বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डबल्बन िि তা’ হলে এখন প্রশ্ন দাড়াচ্ছে এই-এ দেশে যে সমাজটাকে আমরা সনাতন ধৰ্ম্মীদের সমাজ বলে বড়াই করে বেড়াচ্ছি, আসলে সেটা কি ? সেটা কি শুধু শূদ্ৰদের সমাজ ? যদি চোটে না যাও, ভাই, তো বলি-আমার মনে হয় সেটা জীবন্ত মানুষের সমাজ নয়-জড়ের সমাজ । জড়ের লক্ষণই এই যে, বাহা প্ৰকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সে নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে না ; কোন জিনিষ আত্মসাৎ করে। নিজেকে পুষ্ট করবার শক্তিও তার নেই ; আত্মরক্ষা করতেও সে অসমর্থ। সে শুধু যেমন ছিল তেমনি পড়ে থাকতে 西屯可1 সনাতন আদর্শে সমাজ গড়বার চেষ্টা আমাদের দেশেই হয়েছিল ; কিন্তু দেশ পরাধীন হবার পর থেকে ক্ৰমে ক্ৰমে সে আদর্শ কাজে পরিণত করবার শক্তি আমাদের লোপ পেয়েছে। আজি সনাতন সমাজ ব’লে যিনি আড়ষ্ট হয়ে আমাদের বুকের উপর চেপে বসে আছেন, এই হাজার বৎসর ধরে তিনি আত্মরক্ষার খাতিরেও নিজেকে আর বিশেষ পরিবাৰ্ত্তন করতে পারেন নি। মোগল আর পাঠানদের আক্রমণ থেকে র্যারা সমাজকে রক্ষা করবার চেষ্টা করেছিলেন। তঁদের প্রায় সকলকেই স্বতন্ত্র সমাজ গড়ে তা’ করতে হয়েছে । নানক, কবীর, নিত্যানন্দ সকলেরই ঐ এক অবস্থা। সমাজ রক্ষণ আর পরিবর্তনের ভার র্যাদের উপর, সেই ব্ৰাহ্মণ সমাজ এ সব নূতন সম্প্রদায়কে বিশেষ শ্ৰদ্ধা বা গ্ৰীতির চক্ষে দেখেন নি।