বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভবঘুরের চিঠি - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভবঘুরের চিঠি নিতে হয়েছে। তাই শিখ ধৰ্ম্মের ভিতর মুসলমানদের দোষগুণ সবই অল্পবিস্তর এসে পড়েছে। গ্ৰন্থসাহেব। আর কোরাণ, গুরুদ্বারা আর মসজিদ, গুরু আর পয়গম্বর-এ সব আসলে প্ৰায় একই জিনিষ। তবে শিখদের জিনিষগুলো হচ্ছে এদেশী, আর মুসলমানদের জিনিষগুলো হচ্ছে বিদেশী ; এক্ষেত্রে যাদের হাতে শক্তি তাদেরই জয় হয় । কিন্তু মোগল-পাঠানদের হাতে রাজশক্তি যতদিন ছিল, শিখদের হাতে ততদিন থাকে নি। কাজেই যে experiment-টা আরম্ভ হয়েছিল ত’ শেষ হবার অবসর পায় নি। পাঞ্জাবে শিখ আর মুসলমান এখনও পরস্পরের দিকে চোখ রাঙ্গিয়ে দাড়িয়ে আছে। fragic far-i-tiris cultural fusion-as চেষ্টায় অনেক ‘পন্থা’-এর আবির্ভাব হয়েছে। রাজশক্তি নিয়েও কতকটা কাড়াকড়ি হয়েছে; কিন্তু হিন্দুরা তাতে জয়লাভ করতে পারে নি। মোগল-পাঠানের বংশধরেরা, শিষ্যেরা হিন্দু সমাজের খানিকটা খসিয়ে খসিয়ে নিয়েছে ; আর হিন্দী ভাষার ঘাড়ে ফাসি চাপিয়ে একটা নূতন উর্দ ভাষা আর তার সঙ্গে সঙ্গে একটা উর্দু, culture-এর স্মৃষ্টি করবার চেষ্টা করেছে। দিল্লী আর লক্ষ্মেী হচ্ছে এই culture-এর আডিডা। খাটি মুসলমানেরা যে হিন্দুদের কি চক্ষে দেখেন, তা এসব জায়গায় মুসলমানদের না দেখলে বুঝতে পারা যায় না। পাঞ্জাবে এক শিখ ভিন্ন সকলেই মুসলমানের culture ee