বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, রোহিভাঙ্গ হুগ في عه সৌন্দর্ঘ্যে যদিও ভারতবর্ষের উত্তর পশ্চিম প্রদেশস্থ কিংবা দাক্ষিণাত্যের কারুকার্য্যবিশিষ্ট অট্টালিকাদির তুল্য নহে ; তথাপি এই সমূদয় ভবন, বিহার প্রদেশে তৎকালনিৰ্ম্মিত নিকেতনাদি হইতে শ্রেষ্ঠতর ও সুপ্রসিদ্ধ। দুর্গের প্রবেশদ্বার নিচয়ের মধ্যে “রাজঘাট” নামক যে স্থ প্রসিদ্ধ তোরণ আছে ; তাহার দ্বারদেশ হইতে শোণ নদ পর্যন্ত বিস্তৃত জঙ্গলাকীর্ণ এক প্রস্তরবত্বের ধ্বংসাবশেষ দৃষ্টিপথে পতিত হয়। ইয়ার সম্বন্ধে এবংবিধ কথিত আছে যে পূৰ্ব্বকালে রাজ অন্তঃপুর-চারিণী মহিলাগণ নদীতে অবগাহন করিতে এবং রাজা ও রাজমহিষীগণ তরণীযোগে নদীবক্ষে বিচরণ করিবার উদ্দেশ্যে উক্ত পথে সচরাচর গমনাগমন করিতেন । দুর্গমধ্যস্থ এক শিলাস্তুপের উদ্ধদেশে যে একটা প্রস্তরনিৰ্ম্মিত অতি প্রাচীন মন্দির অবস্থিত, ইহার সম্বন্ধে এইরূপ কথিত আছে যে, পূর্বে তন্মধ্যে রোহিতাশ্বের প্রতিমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল ; ঔরঙ্গজেব কর্তৃক উহ। বিধ্বস্ত হইয়াছে। উক্ত মন্দিরের চতুর্দিকে কারুকার্য্য বিশিষ্ট বহুসংখ্যক বিক্ষিপ্ত জয় প্রস্তরখণ্ড দৃষ্ট্রিপথে পতিত হয়। মন্দিরে গমন করিবার জন্য শিলাস্তুপের পাদদেশ হইতে উৰ্দ্ধদেশ পর্য্যন্ত প্রস্তর-সোপানশ্রেণী নিৰ্ম্মিত আছে। উল্লিখিত পাষাণ স্তুপের সমীপবর্তী গুম্বজাকৃতি পঞ্চশিখরবিশিষ্ট এক প্রস্তর নিৰ্ম্মিত মন্দিরের অভ্যন্তরে নৃপতি হরিশ্চন্দ্রের প্রতিমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল—এবং ইহাও ঔরঙ্গজেব কর্তৃক বিনষ্ট হইয়াছে বলিয়া প্রসিদ্ধি আছে। মূৰ্ত্তি ছুইটী এইরূপে বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয় সৈয়দ ঔলদ হৈদর কর্তৃক উদুভাষায় বিরচিত বিহার ও উড়িষ্যার ইতিহাস হইতে উদ্ধৃত হইল। । নৃপতি হরিশ্চন্দ্র ও রোহিতাশ্বের যে মূৰ্ত্তিৰয়ের বিষয় উপরে উল্লেখ করা হইয়াছে, তাহ ছুর্গানবাসিগণ কর্তৃক পূজিত হইত—এইরূপ অবগত হওয়া যায় । অস্বরাধীশ্বর মানসিংহ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত নিকেতনাদি এবং উল্লিখিত দুইটা মন্দির ব্যতিরেকে আরও যে কতিপয় ভবনাদির ভগ্নাৱশেষ দুর্গ-মধ্যে পরিলক্ষিত হয় ; ঐ সমুদয় সম্ভবতঃ প্রাগুক্ত মহানায়ক প্রতাপ ধবল ও