বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতীয় স্মৃতি কথা ও চিত্র - সমরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মণ.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ഷ്ണ ربع حجم ইহার নিৰ্ম্মাণকৰ্ত্তা ভাস্কর বিদ্যায় একজন সুদক্ষ পুরুষ ছিল । বাস্তবিক— এই মূৰ্ত্তিটর শিল্পচাতুর্য্য প্রশংসনীয়। উল্লিখিত মূৰ্ত্তিকে গ্রামনিবাসী জনসাধারণে “রাণী-মূৰ্ত্তি আখ্যা প্রদান করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইহা কি মূৰ্ত্তি তাহ অবধারণ করা বিশেষজ্ঞ ব্যতিরেকে অন্যের পক্ষে দুষ্কর। ইহার হস্ত চতুষ্টয়ের মধ্যে দক্ষিণ দিকের এক হস্ত ভগ্ন, অপর হস্তে কোন দ্রব্য নাই । বাম দিকের এক করে গ্রন্থ সদৃশ দ্রব্য বিশেষ, এবং অপর করে একখানি ঘট ধৃত রহিয়াছে। মূৰ্ত্তিটর পাদপীঠোপরি দুই পার্শ্বে দুইট ক্ষুদ্রাবয়ব নারী-মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মিত আছে । ইদানীং পল্লীনিবাসী লোকেরা উক্ত মূর্তিকে অনর্থক বস্ত্র পরিধান করাইয়া ইহার কারুকাৰ্য্যের সৌন্দৰ্য্য বিনষ্ট করিয়াছে। এইরূপে বস্ত্র পরিধান করাইবার উদ্দেশ্য যে কি—তাহ নির্ণয় করা যায় না। কারণ বর্ণিত মূৰ্ত্তি নগ্ন নহে । তথাকথিত রাণী মূৰ্ত্তির আলোক-চিত্র গ্রহণ করিবার জন্য, তদগাত্রস্থ অনাবশ্যক বসনখানি অপসারিত করিবার জন্য সেই স্থানে উপস্থিত ব্যক্তিগণকে অনুরোধ করা হইয়াছিল, কিন্তু ঐ অনুরোধ রক্ষিত হয় নাই। তাহার এবংবিধ আপত্তি উত্থাপনপূর্বক এই বিষয়ে অস্বীকৃত হয় যে, গ্রামনিবাসী আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা যখন বস্ত্র পরিধান করাইয়া ইহার পূজা করিয়াছে, তখন ইহার অঙ্গবাস উন্মোচন করা সঙ্গত নহে। তন্ত্ৰীপ করিলে পাপগ্রস্ত হইতে হইবে। অত্রস্থ ব্যক্তিগণকে অর্থ প্রদানের প্রলোভন প্রদর্শনপূর্বক, নানা প্রকারে বুঝাইয়া উক্ত বিষয়ে বহু প্রয়াস করা সত্বেও, তাহাদের মত পরিবর্তনের কোন লক্ষণ পরিদৃষ্ট না হওয়াতে—অশিক্ষিত গ্রাম্য ব্যক্তিগণকে বৃথা বুঝান পণ্ডশ্রম বিবেচনায় মূৰ্ত্তিটা যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থাতেই ইহার আলোক-চিত্র গ্রহণ করা হয় ; এবং তাহা হইতে মুদ্রিত চিত্র এই পুস্তকে প্রদত্ত হইল ।