পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা করিয়া কৰ্ম্মে আনন্দ ও জীবনের গৌরব হইতে আমদের বঞ্চিত করিতেছে এবং শিল্পীর সিংহাসন হইতে আমাদের নামাইয়া কুলিবাজারে বাসা দিবার বন্দোবস্ত করিতেছে মৃত্যুকালীন সেই দুৰ্ব্বদ্ধিকে আমি ভয় করি। এই দুষ্টবুদ্ধি ভিতরে ভিতরে কি নিঃশব্দে ভারতশিল্পের ভিত্তি তল শিথিল করিয়া দিতেছে দেখাই । কলিকাতা সহরে দেশীয় লোকের দুiবা চালিত অনেকগুলি লিথোগ্রাফারের দোকান আছে । ইহার থিয়েটারের প্লী কাড হেয়ার অয়েল ইত্যাদির লেবেল ও নান৷ বাজারে কায লইয়া দিন গুজরান করিতেছিল । ঠিক বলিতে পারি ন! আজ কাল এট ছাপাখানাগুলির মধ্যে কোনগুলি ভারতের একটি বিশেষ শিল্পের দিকে মৃদুষ্টিপাত করিয়া মন্দিরের দ্বারে দ্বীরে লিথে। কালিতে মুদ্রিত দেবদেবীর পট বিক্রয় সুরু করিয়৷ দিয়াছে, এই সকল পট হাতে-লেখা পটের দস্ত ও কুৎসিত অমুকরণ ; কোন নুতনত্ব নাই ; সস্ত। এবং সস্তার তিন অবস্থাই সেগুলির একমাত্র গুণ । আপনার সকলই জানেন যে .ছাট বড় সমস্ত তীর্থস্থানেই হাতে পট লিখিয়া ১০।১২ &ইতে ১০ •।১t • ঘর পটুয়া আবহমানকাল স্বচ্ছন্দে জীবনযাত্ৰ নিৰ্ব্বাহ করিয়া আসিতেছে। যথাসম্ভব অল্পমূল্যে এই পটগুলি বিক্রয় করিবার জন্ত দেবতার দ্বারে আসিয়া তাচার বসিয়া থাকে, আজি কালের প্রতিযোগিতায় সই দেবতার দ্বারে যান্ত্ৰিগণের ভক্তির “নি হইতে বঞ্চিত হুইয়। তাছার দিনের পর ifন শুফ মুখে হতাশ হইয়া ফিরিয়া যাইতেছে । এই সকল নিয়ন্ধের অভিশাপ কি আমাদের শিল্পে ভক্তিমন্ত্র । > o 2 কোন দিন স্পর্শ করিবে না ! ইহার অtমাদের ভারত চিত্রশিল্পের উৎকৃষ্ট মাদর্শ দিতেছিল ন সত্য কি স্তু পট প্রস্তুত প্রণালী, বর্ণ ও রেখা-সন্নিবেশ প্রথায় তাহার আবহমানকাল প্রাচীন শিল্পেব মুনিয়মগুলি সযত্নে রক্ষা করিয়া আসিতেছিল, আমাদের শিল্পচর্চাকালে, পটুয়াগণের এই রক্ষণশীল বৃত্তি যে কতটা সুযোগের সামগ্ৰী তাহ বলিতে হইবে কি ? "আভোগং পূর্ণচন্দ্রস্ত প্রতিপংকলয় যথা” ভারতশিল্পের পূর্ণমূৰ্বি এই সকল কলমাত্রাবিশিষ্ট শিল্প দিয়াই যে আমাদের হৃদয়ঙ্গম করিতে হইবে ! এই সকল শিল্পী সাজ যদি চিরদিনের পেস ছাড়িয়া বি এ, এম এ, পাশ করিয়া সভ্য হইতে গিয়া অর্থ চাহিতে গিয়া ভারত শিল্পের পুনরুদ্ধারের পথ চিরদিনের মত বিলুপ্ত করিয়া দেয়, তবে সে পাপ তাহদের নয় ; দুৰ্ব্বদ্ধি আমাদেরই। কলের ধূম ভারতশিল্পের শেষ চন্দ্রকলাকে লুপ্ত করিয়া যেদিন এ দেশে অন্ধকারের স্বজন করিবে সেদিন নরকের অন্ধকার হইতে আমরা অধিক দূরে থাকিব না । আসমুদ্র ভারতবর্যের ত্রিশকোটী নরনারীর দৃষ্টিই যে বিপন্ন ভারতশিল্পের দিকে আরুষ্ট হইতে হইবে এমন প্রয়োজন দেখি ন। কিন্তু অন্তত তিনজনকে ও সেটা হৃদয়ঙ্গম করিতে হৰ্চবে সেই তিনজনকেই ঝটিকার মুখে বুকের আড়াল দিয়া দীপশিখার হয় তাহাকে রক্ষা করিতে হইবে । শিল্পীগণ যtহাদের হাতে শিল্পসামগ্ৰী স্বষ্টি করিবার ভার, এবং ধনীগণ যাহাঁদের উপরে সেই এবং