বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা । বিজ্ঞান শাস্ত্রের অনেক নিয়মেরই ব্যতিক্রম হইলেও অধিকাংশ বিষয়গুলির ভাবার্থ অতি মহান ও হৃদয়স্পর্শী। ছই একখানি ছোট ছোট ছবি সব পাশে পাশে সাজান দেখিলাম । সে সবগুলি প্রণয় পত্র সম্বন্ধে ৷ আশ্চর্য্য সব গুলি ভিন্ন ভিন্ন চিত্রকর প্রণীত, অথচ ঠিক এক রকম ভাবেই আঁকা । একখানিতে নিভৃতে রুক্মিণী শ্ৰীকৃষ্ণকে পদ্মপাতায় ও চন্দনের কালতে পত্র লিখিতেছেন । তাহার ভ্রাতার ইচ্ছ। তিনি অপর একজনকে বিবাহ করেন । আর একটি ছবিতে এক উচ্চ প্রাসীদের জানালা হইতে একটি সুবেশ রমণী একজন দূতের হাতে একখানি প্রণয় পত্র গোপনে পাঠাইতেছেন । আর একটি ছবিতে একটি কপোত ঠোটে করিয়া এক থানি প্রণয় পত্র লইয়া উড়িতে উড়িতে মাসিতেছে। একটি গবাক্ষে একটি রমণী একান্ত আকুলতার সহিত তার আগমন প্র তীক্ষা করিতেছেন । একজন রামায়ণ প্রেমিক জাপানী হালকা হালকা তুলি বুলাষ্টয়া ছয় খানি ছবিতে সাতকাণ্ড রামায়ণ লিখিয়াছেন তাহা কি চমৎকার। যে বিশিষ্ট ভাবের কথt আমি এদেশের চিত্র কলায় আছে মনে করি, সেই বিশিষ্ট্রভাব এই বিদেশী অতি মুন্দর ভাবে উপলব্ধি করিয়াছেন । বিদেশী হইলেও তার আন্তরিকতা একান্ত গভীর। তিনি এদেশী চিত্রকরদেরও এই বিষযে হারাইয়। निम्नाtइन । उँाशब्र श्राज्राविक छाउँौग्न ক্ষমতা অর্থাৎ মুন্দরভাবে রেখা টানিবার ও প্রাচ্য চিত্রকলা প্রদর্শনী । Y S a রং ফলাইবার ক্ষমতাটুকু ত সেই চিত্রে আছেই তাহার উপর এ দেশের ভাবে ছবিখানি অতীব সুন্দর হইয়াছে। এ ছবি গুলি সব রেশমের কাপড়ের উপর আঁক । প্রথম খানি রামের বনগমনের ছবি । বল্কল পরিয়া শ্রীরামচন্দ্র সীতাদেবী ও লক্ষ্মণ যাইতে প্রস্তুত,আর আবালবৃদ্ধ বনিতা সকলেই রোরুদ্যমান । শ্রীরামচন্দ্রের নিজেরও এই বিষম মুহুর্তে মুখখানি মান । নিশ্চয়ই সে মলিনতা বনে যাইবার জন্ত নহে, পিতামাতা ও পুরবাসীগণকে এমন শোকাতুর দেখিয়া । দ্বিতীয় ছবিখানিতে র্তাহাদের অরণ্য বাসের ছবি চিত্রিত। গাছতলায় সীতাদেবী রামচন্দ্রের কোলে মাথা রাখিয়া ভূমিশয্যায় শয়ান। রামচন্দ্রের চোখ দুটি ঘুমাবেশে আলস্যমাখা। ভাই লক্ষণ অদূরে থাকিয়া সা মারাত্রি ধনুৰ্ব্বাণ লইয়া সীতাদেবীকে পাহার। দিতেছেন । তাহার সে সময়কার উপযোগী যে কিরূপ মৃন্দর মূৰ্ত্তি চিত্রকর আঁকিয়াছেন সে না দেখিলে বুঝান যায় না। লক্ষ্মণের সকল অবস্থাতেই উদ্ধৃপ্ত ভাব ; সেইভাবে অস্তবীক্ষে চাহিয়া চারিদিকে তিনি পদচালন। করিয়া সারারাত সীতাদেবীকে রক্ষা করিতেছেন । তৃতীয় ছবিখানি সীতাহরণ সম্বন্ধে । ভীমাকৃতি রাবণ নিরাশ্রয়া সীতাদেবীকে অপহরণ করিয়া আকাশপথে চলিয়াছেন । সীতাদেবী ভয়ে মুমুধু । রাবণের কৃষ্ণদেহে তাহার ক্ষীণ কাঞ্চন তমুখানি যেন মেঘের মাঝে বিদ্যুতের মত দেখাইতেছে। চতুর্থ ছবিখানি অপহৃত সীতাদেবীর রাবণরাজার কারাগারে অশোক তলায়