বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SB ভারতী । জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭ আত্মোৎসর্গ। মানুষ একদিকে যেমন স্বাবপত্র, পশু-প্রকৃতি, অপরদিকে তেমনি আত্মত্যাগী, দেব-প্রকৃতি। জগতের ইতিহাস ছত্ৰে ছত্রে ইহার সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে । সকল দেশে সকল কালেই স্বার্থের সংকীর্ণ গণ্ডীর মধ্যে শৃঙ্খলাবদ্ধ মানবের মুক্ত আত্মা বিপন্নের উদ্ধারের জগু, পীড়িতের পরিত্রাণের জন্ত, ধৰ্ম্ম বা সত্যের মাহাত্ম্য রক্ষার জগু, স্বদেশ বা স্বজাতির স্বাধীনতার জন্তু আপনার সর্বস্ব দান করিতে, প্রাণ পৰ্য্যন্ত উৎসর্গ করিতে কুষ্ঠিত হয় নাই । তাহাদের কতকগুলিকেই আমরা জানি মাত্র, অনেকেই অামাদের শিকট অপরিচিত,—গ্রাম্য কাহিনীর একটি ছত্ৰে পৰ্য্যন্ত তাহারী স্থান পায় নাই । এ ত’ গেল অতীতের কথা। কিন্তু আমাদের এই বর্তমান জীবনে আজিও জগতের কতদিকে কতলোক কত ভাবে হাস্তমুখে আপনার সর্বস্ব দান করিতেছে, অযাচিত আত্মোৎসর্গ করিতেছে, তাহাদের সন্ধান পৰ্য্যস্ত জামরা জানি না। অন্যাস্থ্য বিষয় ছাড়িয়া কেবল বিজ্ঞানের দিক দিয়া দেখিলেও আমরা বর্তমান জগতে যে সকল সুমহৎ স্বাৰ্থত্যাগ, আত্মত্যাগ দেখিতে পাই, তাহার তুল্য দৃষ্ট্রাপ্ত জগতের অতীত ইতিহাসেও বিরল। সত্যের জন্য, জ্ঞানের জন্য, মানবের দৈহিক দুঃখ নিবারণের জন্য র্যাহার নীরবে অসহ্য যন্ত্রণ ভোগ করিতেছেন ও অবশেষে জীবন পৰ্য্যস্ত দান করিতেছেন, অfজ এইরূপ কয়েকটি মহাত্মা পুরুষের বীরত্ব কাহিনীর উল্লেখ করিব । পাশ্চাত্য জগতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাতত্ত্ব আবিষ্কৃত হওয়া অবধি আজ পর্য্যস্ত ঔষধের ফলাফল পরীক্ষার জন্ত যে সকল চিকিৎসক অসহ্য যন্ত্রণ ভোগ করিয়াছেন, প্রাণ পৰ্য্যন্ত উৎসর্গ করিয়াছেন র্তাহীদের সকলের বৃত্তান্ত একখানি বৃহৎ পুস্তকেও ধরে কি ন সন্দেহ ; সম্প্রতি "এক্স রে’ পরীক্ষায় ८ष मकळ दछानिक थt*ीमॉन कब्रिग्नां८छ्नै ठfशtन्न সংখ্যাও নিতান্ত কম নহে । - ব্রিটিশ বৈদ্যুতিক চিকিৎসা সমিতির সভাপতি ডাক্তার জন্‌ হল এড়ওয়ার্ডস্ এক্স রে চিকিৎসা পদ্ধতির একজন প্রতিষ্ঠাতা। বহুদিন ব্লtনা প্রকারে মানবদেহে "এক্স, রে’র ক্রিয়া পরীক্ষা করিয়া ১৯• • সালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার যুদ্ধে আহত দৈনিকগণের উপর উiহার চিকিৎসার উপকারিত লক্ষ্য করিবার জন্ত তথায় গমন করেন। দক্ষিণ আফুিক। হইতে প্রত্যাগমনের কিঞ্চিৎ পরেই উহার দুই হস্তে উক্ত তড়িৎ সংস্পৰ্শজনিত একরূপ নালী ঘা হয়। 'এক্স, রে’ ঘ নামেই এ রোগ বিদিত। যতদূর জান। যায় এ রোগের তুল্য নিষ্ঠুর যন্ত্রণাদায়ক ব্যাধি মানবের অার নাই । উrহার জীবন যে কিরূপ যন্ত্রণাময় হইবে তাহা জানিয়াও তিনি এক মুহূৰ্ত্তের জন্তও তাহার বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা হইতে বিরত হন নাই । পরে যখন রোগ বৃদ্ধি পাইল, তখন তা হা হইতে অব্যাহতি লাভের আর কোন উপায়ই রহিল না । ১৯৪৬ সালের ‘ব্রিটিশ মেডিকাল জাৰ্ণেল” নামক মাসিক পত্রে তিনি এইরূপ এক পত্র লেখেন : “আমি গত দুই বৎসরের মধ্যে এক মুহূর্বের জন্যও যন্ত্রণ হইতে নিস্কৃতি পাই নাই । সময়ে সময়ে যন্ত্রণ এতই বিষম হইয়৷ উঠে যে আমি শারীরিক ও মানসিক সকল প্রকার কৰ্ম্মেই অশক্ত হইয় পড়ি। শীতকালে আমি নিজে পরিচ্ছদ পরিধান করিতে পারি না এবং সে সময়ে অামি যে যন্ত্রণ ভোগ করি তাহ প্রকাশের ভাষা নাই। দুইটি করপুটের পশ্চাতে প্রায় শতাধিক স্ফোটক হইয়াছে। প্রত্যেকটি হইতেই পুজরক্ত পড়িতেছে । আজ পর্য্যস্ত কোন ঔষধেই আমার লেশমাত্র উপকার হয় নাই। এ অসহ্য যন্ত্রণ হইতে পরিত্রাণের কোন উপায়ই দেখি না মধ্যে মধ্যে যন্ত্রণ এতই অধিক হইয় উঠে যে চাৎকার করিয়৷ উঠিতে হয় ।” दश्रुलिन ७३ङ्ग* यन्नभं] (डाrश्रव्र श्रृंद्र ऊँiझग्न वायহস্তটি কাটিয়া দেওয়া হয়। বীরহাদয় সাধক হস্তটি शब्रांश्चाग्न शूर्विनिन *१ख ॐांशग्न उड़ि९ लश्ब्रा পরীক্ষা করিয়াছিলেন। আজ পর্য্যস্ত ভাখার একমাত্র