বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

55 o উঠেছে। যে পরিমাণেই সে আপনাকে ত্যাগ করতে পেরেছে সেই পরিমাণেই সে লাভ করেছে। এই ত্যাগের শক্তিই স্বষ্টি শক্তি । এই স্বষ্টি শক্তিই ঈশ্বরের ঐশ্বৰ্য্য। তিনি বন্ধনহীন বলেই আনন্দে আপনাকে নিত্যকাল ত্যাগ করেন। এই ত্যাগই র্তার স্বষ্টি । আমাদের চিত্ত যে পরিমাণে স্বার্থবর্জিত হয়ে মুক্ত আনন্দে তার সঙ্গে যোগ দেয় সেই পরিমাণে সেও স্বষ্টি করে, সেই পরিমাণেই তার চিন্তা, তার কৰ্ম্ম, স্বষ্টি হয়ে উঠে । র্যারা সংসার থেকে উচ্চ হয়ে উঠে ব্রহ্মের মধ্যে মাথা তুলে সঞ্চরণ করতে শিখেছেন তাদের এই ত্যাগের শক্তিই মুক্তিলাভ করেছে। এই আসক্তিবন্ধনহীন আত্মত্যাগের অব্যাহত শক্তি দ্বারাই আধ্যাত্মিকলোকে তার শ্রেষ্ঠ অধিকার লাভ করেন । এই অধিকারের জোরে সর্বত্রই তার রাজা । এই অধিকারই মামুষের পরম অধিকার । এই অধিকারের भ८थाहे मांशप्सब्र कब्रम झिङि ।। ७हेथांप्न মানুষকে “পারিনে" বল্পে চলবে न-क्लिब ভারতী । আষাঢ়, ১৩১৭ জীবন সাধন করেও এই চরম গতি তাকে লাভ করতে হবে, নইলে সে যদি সমস্ত পৃথিবারও সম্রাট হয় তবু তার “মহতী বিনষ্টিঃ”। যে ব্রহ্মের শক্তি আমার অন্তরে বাহিরে সৰ্ব্বত্রই নিজেকে উৎসর্জন করচে, যিনি “আত্মদা”, আমি জলে স্থলে আকাশে সুখে ঃখে সৰ্ব্বত্র সকল অবস্থায় তার মধ্যেই আছি এই চেতনাকে প্রতিদিনের চেষ্টায় সহজ করে তুলতে হবে। এই সাধনার ধ্যানই হচ্চে গায়ত্রী। এই সাধনাই হচ্চে র্তার মধ্যে দাড়াতে এবং চলতে শেখা। অনেকবার টলতে হবে, বারবার পড়তে হবে, কিন্তু তাই বলে ভয় করলে হবে না, তবে বুঝি পারব না। পারবই, নিশ্চয়ই পারব। কেননা অস্তরের মধ্যে এইদিকেই মানুষের একটা প্রেরণা আছে—এই জন্তে মানুষ দুঃসাধ্যতাকে ভয় করে না তাকে বরণ করে নেয়-এই জন্তেই মানুষ এত বড় একটা আশ্চৰ্য্য কথা বলে জগতের অন্ত সকল প্রাণীর চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে, ভূমৈব সুখং, নাল্লে মুখমস্তি। ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জাগীও | জীগাও জাগাও, মম অন্তর আলোকে তব আলোক মিলাও । মম অজানা বেদন, মম অফুট চেতন, তব আলোক কিরণে এবে--ফুটাও ফুটাও । मम शुलग्न भइन, মম নিবিড় ক্ৰন্দন, তব পরশে, নিমেষে এবে—ঘুচাও ঘুচাও । মম গোপন মরম, মম গভীর সরম, তব মোহন মিলনে এবে—ডুবাও ডুবাও । শ্ৰীহেমলতা দেবী।