९२४ সুসময়ে এই নবগঠিত উন্নত জাতির উদ্দীপ্ত গৌরবের সময় তাদের আশা উৎসাহের অংশ গ্রহণ করতে আসবেন, তার আপনাকে আদর করে ডেকে নেবে ।” পাম্পলেটের লেখক ও বক্তা জীন ক্যাজটি এই কথা বলিয়া আসন ত্যাগ করিয়া উঠিলেন ও গৃহের মধ্যে পদচাবণ করিতে লাগিলেন । সোফি আপনার কাজ করিয়া যাইতেছিল ; এখন একটু করুণা ও বিদ্রুপের সহিত উত্তেজিত সংস্কারকের দিকে চাহিয়া বলিল, “ক্যাজটি মশার, অামুন, অমরা আরো একটা বেশি চিত্তাকর্ষক বিষয় নিয়ে কথাবার্তা কই ! আমার মডেল পিরি না আসাতে আমি ভারি হতাশ হয়ে পড়েছি, সে কিন্তু আর কখনো অামায় এরকম হতাশ করেনি।” ক্যাজটি নতমস্তকে নম্র অভিবাদনের সহিত কহিলেন, “অধিক চিত্তাকর্ষক বিষয় ত আপনার কথা ছাড়া আর কিছু খুঁজে পাই না, বিশেষতঃ, এ সময়ে ।” “অনুগ্রহ করে আমাকে আর ক্লাস্ত করে তুলবেন না। আপনি আজ যা খুণী তাই বলছেন। আমাদের সর্বট মনে রাখবেন ! আপনি যতক্ষণ অবধি না ভালবাসার কথা বলবেন, ততক্ষণ পৰ্য্যন্ত আপনি আমার পরম বন্ধু ! নয়, কি মশায় ?” সোফি তার সুকোমল কর ক্যাঞ্জটির দিকে বাড়াইয়া দিল । ক্যাজটি ধীরে ধীরে নিজের হাতের মধ্যে সেই গুন্ত্ৰ হাতখানি তুলিয়া লইয়া তাহাতে চুম্বন করিলেন, দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া বলিলেন, “আমি নিজের অধিকার রক্ষা করতে জানি, সুনারি ! আমি জানি, আপনি ভীত নন; কিন্তু বাতাসে ঝড়ের বেগ বাড়ছে। ভারতী । আষাঢ়, ১৩১৭ অাজকার দিন একটা স্মরণীয় দিন হয়ে দাড়াবে। আমি জানি মারসেল্স্ থেকে একদল দুৰ্দ্ধৰ্ষ নাগরিক সৈন্ত প্যারিসে এসেছে। তা ছাড়া অসংখ্য ক্ষুধিত, ক্রুদ্ধ, উন্মত্ত লোক সেণ্ট আণ্টনি ও সেন্ট মরিসিও থেকে জলপথে এসে জমা হয়েছে। সে ভয়ানক দৃপ্ত আপনার দেখবার যোগ্য নয়। তাই বলি, এখানে আপনি থাকবেন না । এখনও পালান, এখনও অামি আপনাকে অনুমতি পত্র এনে দিতে পারবো” । “ন, ক্যাজটি মহাশয়! আমি প্যারিস ছেড়ে কিছুতে যাবো না। ডাকাতগুলো জমা হোক, তারা কি করতে পারবে, সৈন্তের নিশ্চয়ই রাজপক্ষে আছে” । “সে সম্বন্ধে ও একেবারে নিশ্চিন্ত হবেন না । ক্যাজটি স্থির হইয়া দাড়াইলেন । গ্রীষ্মের স্তব্ধ বায়ু আলোড়িত করিয়া অসংখ্য বন্দুক গর্জিয়া উঠিল। সে শব্দ সহসা থামিল না, অবিশ্রাম রহিয়া গেল। ক্যাজটি তীক্ষুদুষ্টিতে সোফির বিবর্ণ মুখের দিকে চাহিলেন । উত্তেজিত কণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন, “টুইলারীর উপর আক্রমণ হচ্ছে। বেতনভূকৃগুলা আমার দেশের লোকের উপর গুলি চালাতে সাহস করচে । শীঘ্রই এর ফল পাবে, একটা বদমায়েস ও আজ স্থৰ্য্যাস্তের পর বেঁচে থাকবে না।” “ও মশায়! আমার সুইস সৈন্ত ! আমার সাহসী স্বদেশী ” শিহরিয়া উঠিয় দাড়াইয় সোফি উচ্চকণ্ঠে বলিয়া উঠিল—তুলিটা হাত হইতে পড়িয়া গেল—“তারা তাদের রাজার জন্ত যুদ্ধ করচে ?” ক্যাজটি ঘূণার সহিত কছিলেন, “রাজ !