পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&も& রতনবাবু আবার খানিকট ছড়া বলিয়া কহিলেন, “এবার কি দেখিতেছেন ?? “ধোয়াটা উপরে উঠিয়া কুণ্ডলী পাকাইতেছে—তাত হইতে একটা মাহুষের মুৰ্ত্তি ! এ কি, এ যে আমার এক বন্ধু—” রতনবাবু কহিলেন, “বন্ধু ? ইনি জীবিত श्रां८छ्न ?” “না,-আজি তিন বৎসর হইল—বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করিয়াছেন !” আমরা আশ্চর্য্য হইলাম । রতনবাবু কহিলেন, “এখন আপনার ভূতের অস্তিত্বে বিশ্বাস হইতেছে ?” “বলেন কি, এট আমার দৃষ্টিবিভ্রমও ত হইতে পারে।” আমরা অস্থির হইয়া উঠিতেছিলাম। এত বড় অবিশ্বাসী লোক ! ভূত দেখিতেছে, তবু মানিবে না । আর আমরা চাদ দিয়া মোটে দেখিতেই পাইলাম না ! গা-টা ছমৃ-ছম্ করিতেছিল—থাকিয়া-থাকিয় দেহে রোমাঞ্চ হইতেছিল ! “দৃষ্টিবিভ্ৰম! বেশ ! তবে আর একটু দেখুন”, বলিয়া, রতনবাৰু আবার ছড়া সুরু করিলেন, কহিলেন, “এখন কি দেখিতেছেন ?” “লোকটার কেমন ছায়ার শরীর-আমার দিকে আদিতেছে,—আমার পাশে দাড়াইয়াছে, —হাত তুলিতেছে—আমার গায়ের দিকে— ভারী ঠাও। হাত—উঃ,যেন ছুচ বিধিতেছে— বাবারে!” অপরিচিত যুবকটি মূৰ্ছিত হইয়া সশব্দে ভূমিতে পড়িয়া গেল ! , श्रांभङ्ग टांझांडांख्रि लिङएब्र शाहेलांभ ! ‘छड, छण' *एक शांनछे भूर्भुब्रिड झहे ब्रां ॐठेिण ! ভারতী । আষাঢ়, ১৩১৭ রতনবাবু বলিলেন, “ছ পাতা ইংরাজী পড়িয়া ভূত মানেন না—দেবতা মানেন না— ধরাকে সর। জ্ঞান করেন -এ রোগের ঔষধ কি ? তা যাকৃ, বাজি জিতিয়াছি – আমার টাকার প্রয়োজন নাই—উ হার যে শিক্ষা হইয়াছে, তাহাই আমার পক্ষে যথেষ্ট ! আপনার নব্যের দল,—আপনারাও ত চক্ষে দেখিলেন ।” আমরা তখন মূৰ্ছিতকে লইয়া ব্যস্ত হইলাম । জ্ঞান-সঞ্চার হইতেই, অপরিচিত যুবকটি কহিলেন, “কোথায় গেল, সে বেটী । ভও, বুজরুক! উঃ, আমার প্রাণটাই গিয়াছিল —আমি তাকে পুলিশে দিব, এখনি থানীয় টানিয়া লইয়া যাইব,—বেট —” কথাটা বলিতে বলিতে তিনি বাহিরের দিকে ছুটিলেন । আমরা সকলে মিলিয়া চেয়ার-টেবিলগুল! তুলিয়, বাতি জালিয়া বাসার দিকে চলিলাম ! কস্তাপক্ষীয় ভদ্রলোকটি কহিলেন, “তাই ত, ব্যাপারটা ভালো, বুঝ। গেল না ত!” বালায় আসিয়া দেখি, যাদব মিত্র আপাদমস্তক লেপ মুড়ি দিয়া পড়িয়া আছে। আমরা ফিরিতেই সে কহিল, “কি দেখিলে ?” আমরা কহিলাম, “আশ্চৰ্য্য কাও ! যথার্থই ভূত আছে! তিন বৎসর পূৰ্ব্বে যে লোক মারা গিয়াছে, সে একেবারে আজ সশরীরে উপস্থিত !” যাদব কহিল, “স্বচক্ষে দেখিলে ?” - আমরা কহিলাম, “স্বচক্ষে ঠিক নয়--তবে, হুঁ, একরকম স্বচক্ষু বই কি ! সেই যে ভদ্রলোকটি যিনি তর্ক করছিলেন, তিনি দেখিয়া ভয়ে মূৰ্ছা গিয়াছিলেন ।”