বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা । পর “অবসর চিন্তা” পত্রিকায় আমি কবিতাগুলির কিঞ্চিৎ তীব্র সমালোচনা করিলাম ; যথা,—“এক সময় অবগু ছিল যখন মহিলামাত্রেরই রচনা অতিরিক্ত এবং অনেক সময়ে অযথা প্রশংসা লাভ করিত। কিন্তু সে সময়ের পরিবর্তন ঘটিয়াছে। বৰ্ত্তমান কালে বঙ্গভাষায় মুলেখিকার সংখ্যা অল্প নহে এবং সাধারণ লেখিকা প্রচুর । এরূপ অবস্থায় বৰ্ত্তমান লেখিকাকে আমরা অকারণ উৎসাহ দিতে ইচ্ছা করি না। জীবনের মধ্যে কবিতা রচনাই চরম সফলতা নহে । আরও বহুবিধ কৰ্ত্তব্য আছে যাহা পালন করিয়! আমবা জীবন সর্থিক কব্লিতে পারি। ইত্যাদি ३डJनि । কিন্তু বিস্ময়েব সহিত দেখিলাম কিছুমাত্র নিরুংসাহিত না হইয়া প্রীমতী তরুবাণ সন্ধ্যাকাশের পরিসংখ্যায় আর ও তুই তিনটি কবিতা প্রকাশিত করিয়াছেন । তন্মধ্যে একটি কবিতা কিছু বিদ্ধপাত্মক, বিশেষ শ্রণিধান পূৰ্ব্বক বিবেচনা করিলে মনে হয় সে বিদ্রুপ এবং যেন আমারই প্রতি বর্ষি ত হইয়াছে । কিন্তু এমন চতুরতার সঠিত প্রচ্ছন্ন যে সহজে কাহারও তাই বোধগম্য হইবার নহে। তীব্রতর সমালোচনা করিলাম । বহু প্রকারে তিরস্কার ও নিন্দ ক{রয়া পরিশেষে লিখিলাম,—ভগবান কাহাকেও কাব্য রচনা করিবার শক্তি প্রদান করিয়াছেন, কাহাকে ও কাব্য উপভোগ করিবার প্রবৃত্তি দিয়াছেন,— সকলকে কাব্যরচনা করিবার ক্ষমতা কেন দেন নাই সে রহস্ত তিনিই শুধু জানেন । কিন্তু যাহাকে শক্তি দেন নাই—তাহাকে লালস। কেন দিয়াছেন তাহ আরও রহস্তপুর্ণ ! সমালোচক । २.११ সমালোচনা সমাপ্ত হইলে চাহিয়া দেখিলাম ঘড়িতে উভয় কাটাই ১২টার ঘরে একত্র হইয়াছে। সুইস টিপিয়া দিয়া শয্যায় শয়ন করিলাম। শুইয়া ভাবিয়া দেখিলাম প্রকৃত পক্ষে তরু বালীর কবিতার নিরপেক্ষ সমাণোচনা করি নাই। দোষটুকু দেখাইবার পক্ষে কোন ক্রটি করি নাই কিন্তু যাহা প্রশংসার যোগ্য তদ্বিষয়ে সম্পূর্ণ মেীন থাকিয়াছি । দীপহীন কক্ষের ঘন অন্ধকারের মধ্যে কাল্পনিক তরুবালার কাতর মুখমণ্ডল আমার চক্ষের সম্মুপে যেন প্রফুটিত হইয়া উঠিল । অন্ধকারে স্নিগ্ধ হইয়াই হ ড় ঢ় বা যে কারণেই ইউক মমতায় মন পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। অজ্ঞাত কুঞ্জ বনের মধ্যে প্রচ্ছন্ন পুষ্প তাহার যতটুকু সাধ্য সুগন্ধ প্রেরণ করিতেছে আমি কেন আ কারণ ত{হাকে ছিন্ন করিবার জন্ত ব্যস্ত হই । স্থির করিলাম সমালোচনা পারবৰ্ত্তিত না করিয়া পাঠাইব না । প্রভাতে উঠয়। দেখিলাম ঘর আলোকে উজ্জল হই। গিয়াছে ; রাত্রে অন্ধকারের নিবিড়তায় যাহ। স্থির করিয়াছিলাম দিনের আলোকে তাই অতি সহজে লুপ্ত হইয়া গেল। সমালোচনা একটা কভারে মুড়িয়া “অবসর চিস্তা” সম্পাদকের নামে পঠাইয়া দিয়া মিঃ মুখার্জির গৃহে চ পান করিবার জন্ত বাহির হইলাম। মিঃ মুখার্জি ব্যারিষ্টার, এবং আমাদের ল’ প্রোফেসার। র্তাহার পুত্র মুবোধ আমার বন্ধু । সেদিন রবিবার ছিল। প্রতি রবিবার আমি নিয়মিত ভাবে মিঃ মুখার্জির গৃহে চা পান করিবার জন্ত উপস্থিত হইতাম । মিঃ মুখাঞ্জির পুত্র মুবোধ ইংলণ্ডে সিভিল সারভিস