পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•ર ઝ acब्रांछन श्न न। थामांकखि बांध निब्र কহিয়া উঠিলেন “ক্ষমা,-আমিতে রাগ করিনি ক্ষম কিসের জন্ত ? বরং ধরতে গেলে তার কাছে আমিই অপরাধী—” বৃদ্ধ যেন ধরা ছোয়া দিতে রাজি নহেন, রজনীনাথ হতাশ হইয়া চুপ করিয়া রছিলেন। এই সময় বড় রকম একটা বড়ো হাওয়া উঠিয়া ঘরের কাগজপত্র ওলোট পালট করিয়া দিয়া রজনীনাথকে একটা কাজ আনিয়া দিল ও পরক্ষণে গর্জন শব্দে মেঘ ডাকিয়! বৃষ্টি আরম্ভ হওয়াতে র্তাহাকে জানালা বন্ধ করিবার জন্ত উঠিতে হইল। ফিরিবার সময় রজনীনাথ একথান সংবাদপত্র টেবিলের উপর হইতে উঠাইয়া লইয়া আসিয়া হাফ ছাড়িয়া বঁচিলেন কিন্তু শোকাতুর বৃদ্ধের অভিমানাহত চিত্তের রুদ্ধ হতাশ তাহাকে পুনঃ পুনঃ ভিতরে ভিতরে আঘাত করিতে ছাড়িল না । সেদিন সন্ধ্যা পর্য্যন্ত শিবানী ভিজা চুলগুলা পিঠের উপর ছড়াইয়া দিয়া নিজের শোবার ঘরে নদীর উপরকার জানলাটার কাছে বসিয়া ছিল। এখানে অমুল্যর কোন ভারই তাহাকে লইতে হয় না, দাসী চাকর ও আত্মীয় আশ্রিতদের কোলে কোলে ঘুরিতেই তাছার মাটিতে পা দিবার সময় থাকে না। শিবানীর হাতে কোন বিশেষ একটা কাজও নাই। সংসারের ছোট বড় শত কার্য শত দিকে ছড়ান রহিয়াছে। কত দিকে কত বিশৃঙ্খলা কত অপব্যয়, কিন্তু তাহার জন্ত একটিও কাজ থালি ছিল না। সে যে কাজে হাত দিতে যায় চারিদিক হইতে মাসী পিসি দিদির দল ভারতী। শ্রাবণ, ১৩৯৭ বাঘিনীর মতন ছুটয়া আসিয়া তাহার হাত চাপিয়া ধরে এবং শুষ্কচক্ষে জল আনিয়া জিব কাটিয় কান্নারসুরে বিনাইয়া বলিতে থাকে, "ওমা তুমি কি দুঃখে কুটনে কুটবে ম, ওম আমার বিমুরবেী, আমি থাকতে পানসেজে হাত ময়লা করবে আর আমি তাই পোড় চক্ষে বসে দেখব ? ও আমার অভাগ্যির দশ৷ ” শিবানীর আর কাজের ইচ্ছা বা প্রবৃত্তি থাকে না ; সে মুহূর্তে হাতের কাজ হাত হইতে নামাইয়া দ্রুতপদে নিজের ঘরে চলিয়া যায়। পরদিন আর কাজে হাত দিতে তাহার কিছুমাত্র আগ্রহ জন্মায় না। এমনি করিয়া কোন একটা জায়গায় সে আপনার বিপৰ্য্যস্ত হৃদয়কে আবদ্ধ করিবার অবসর বা সাহায্য পৰ্য্যস্ত পাইতেছিল না। যেটাকে সে কংছ টানিতে যায় সেইটেই যেন নদীস্রোতের বিপরীত মুখে চলিয়া গিয়া তাহাকে উপহাসের সঙ্গে চাহিয়া দেখে । কাজের মধ্যে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নিবেদন করিয়া দিয়া যে একটি আত্মতৃপ্তি সে এতদিন বরাবর উপভোগ করিয়া আসিয়াছিল, পূৰ্ব্বের কৰ্ম্মশ্রান্ত শরীরের মধ্যাহ্ন ও রজনীর বিরাম অবসরটুকু বেদনায়, কল্পনায় প্রতীক্ষায় ও নিরাশায় যেমন একটি বাঞ্ছনার বিষয় ছিল, সেটুকু তাহার এই নুতন অবস্থা জোর করিয়া তাহার নিকট হইতে কাড়িয়া লইয়াছে। বন্ধনহীন দীর্ঘবিকাশের স্মৃতির দাহের কাছে সেই স্বল্পাবসরের চিন্তাটুকু কত লোভনীয় শিবানী এখন তাহা মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে অনুভব করিতেছিল। বৃষ্টি থামার প্লর হইতে মেঘ কাটিয়া যাইতেছে। মহাজনী নৌকা ইট ও খড়