বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা । “এই মূৰ্ত্তির অৰ্দ্ধাংশ জঙ্গল দ্বারা আবৃত, এবং আর এক অংশ ভূমধ্যে প্রোথিত। ইহার সম্পূর্ণ উচ্চত নয় ফুট । এবং জামু হইতে মস্তক পৰ্য্যন্ত সাত ফুট ।” Journal of Asiatic Society. xxxix. p.p. 164.) ইহাই উদয়গিরির বর্তমান অবস্থা । উপরিউক্ত বিবরণপাঠে, সকলেই বুঝিতে পরিবেন,—এমন কোন দর্শনযোগ্য বিষয় উদয়গিরিতে নাই,—যাহার জন্ত কাহারে লুদ্ধচিত্ত তাহার প্রতি আকৃষ্ট হয়। এখন কেবল ধ্বংসের পর ধবংসস্তুপ—এখানে একটা মূৰ্ত্তি গড়াগড়ি যাইতেছে, ওখানে উচ্চছাদ কঙ্করে পরিণত হইয়াছে, পাথরের শিল্পকাৰ্য্য, সেই কারুকন্তিত লতাপাভ, সুগ্ৰীব অশ্ব, সুগঠন হস্তী, তাহীদের সতেজ ভঙ্গিমা,— মনোহারিভাব লইয়া—পাথরের গায়েই মিলাইয়া গিয়াছে, কুণ্ডের জলে পানী ধরিয়াছে, সমস্তই যেন বিয়োগান্ত নাটকের শেষ দৃশুের মত,—যে দেখিবে, সেই চোখের জল রাখিতে পারিবে না । ললিতগিরি। ইহার অপর নাম নাল্তিগিরি। ইহার দুইটী অসমোচ্চ শিখর আছে। মধ্যে একটী পথ। যে পাহাড়ের শীর্ষ, অষ্ঠটার অপেক্ষ ছোট—তাহারই উপরে প্রধান ধ্বংসস্তুপ দেখা যায়। পূৰ্ব্বেক্ত মধ্যবৰ্ত্তাপথের উপরে একটা ছোটখাটে। মন্দির আছে। সেই মন্দিরের নাম, গুরু বামুলী ঠাকুরাণী। মন্দিরট আধুনিক, সন্দেহ নাই,—কিন্তু মালমসলা পুরাতন । চাদনীর ছাদ পড়িয়া গিয়াছে। একস্থানে, পাচটা মুৰ্ত্তি ছিল। সেগুলি উৰ্দ্ধমুখে, ভূতলে গড়াগড়ি যাইতেছে। মূৰ্ত্তিগুলির উচ্চতা পাচ ফুট। উৎকলের শৈল-শিল্প। ኟጨዋ মুক্তিগুলি দেখিতে বেশ । একটা মূৰ্ত্তি, সমৃণাল-পদ্মপাণি। আরো উদ্ধে, আর একটী ছোট মন্দির। তাহাও ভগ্ন,–ছাদ পড়িয়া গিয়াছে। আরো উপরের ভূমি সমতল এবং স্থানচ্যুত ইষ্টকাদির চুর্ণে পূর্ণ। সেই চুর্ণরাশির ভিতরে নানা আকৃতির কারুকার্য্য কম বঙ্কিম ও সুদৰ্শন প্রস্তরখণ্ডও আছে। এককালে, সেগুলি কোন মন্দির বা প্রাসাদের শোভাবৃদ্ধি করিত। এবং এইস্থানে আগে যে খুব চমৎকার কোন প্রাসাদ ছিল, তাহাও নিঃসন্দেহে বলা যায়। এখন, সে সকল কথা, একাধিক সহস্র রজনীর মত উপকথায় পরিণত হইয়াছে। এ উপকথাও আর বেশিদিন থাকিবে না । জানা গিয়াছে, উক্ত প্রাসাদ রাজা বাসু কল্প কেশরীর ছিল। ইষ্টক ও প্রস্তর চুর্ণে পূর্ণ স্থানটর একপ্রান্তে এখন একট ছোট চন্দন গtছ আছে। এখানকার ধ্বংসস্তুপ খনন করা হইয়াছিল। ফলে, দুইটী মূৰ্ত্তি উত্তোলিত হইয়াছে । তাহার উচ্চতা যথাক্রমে আট ও ছয় ফুট । সম্ভবতঃ, এখানে এখনো অনেক মরকত প্রোথিত আছে। অপর পাহাড়ের শিখর নিম্ন সমতল । সেই স্থানের পরিমাপ, দৈর্ঘ্যে ৩৪০ ও প্রস্থে ২২৩ ফুট। শুনা যায়, আগে এখানে রাজার অশ্ব ও হস্তিশালী এবং কৰ্ম্মচারিগণের নিবাসগৃহ ছিল। পাহাড়টর শেষ অংশে আটট প্রস্তরমূৰ্ত্তি পাওয়া গিয়াছে। তাহার কোনোটীর অৰ্দ্ধাংশ মৃত্তিকাগুপ্ত, কোনটী মস্তকহীন হইয়া শায়িত,--কোন কোনটী অস্থাপি দণ্ডায়মান। সকলের হাতে