বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७०२ এবং অভ্যর্থনা সমিতির গঠন, স্বেচ্ছাসেবিকা দলের নিয়োগ প্রভৃতি মেয়ের নিজেই করিয়া থাকেন। রাজপরিবারের মেয়েরা ও সাননো এই সকল কাযে যোগ দেন। গত যুদ্ধের পর যখন সেনাপতি এবং সৈন্ত গণ জয়মালো ভূষিত হইয়া মাঞ্চুরিয়া হইতে দেশে প্রত্যাবর্তন করিতেছিলেন তখন পুরুষদের স্তায় ভিন্ন ভিন্ন সমিতির চিহ্ধারিণী রমণীগণও সারি সারি জাতীয় নিশান হাতে লইয়া এবং তালে তালে নাচিয়া জয়গীতি গাহিতে গাহিতে তাছাদিগকে অভ্যর্থনা করিয়া লইয়াছিলেন। আমার মনে হয় অন্ধকারে আবদ্ধ কুপমণ্ডক প্রায় ভারতনারী বলিয়া কেন —মুসভ্য দেশেও এরূপ উজ্জণদৃশু বিরল। জাপানে অন্ধ আতুর প্রভৃতির জন্ত, মাতৃপিতৃহীন শিশুদের জন্ত, দুষ্টের সংস্কার প্রভৃতির জন্ত বিস্তর সমিতি আছে। তন্মধ্যে ৭ টি বিশেষ উল্লেখযোগ্য । প্রত্যেক সমিতি সংশ্লিষ্ট একটি করিয়া আশ্রম আছে। প্রত্যেক আশ্রমের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্ত স্কুল এবং কাৰ্য্যক্ষম ব্যক্তিদের জন্ত নানারূপ কাজের বন্দোবস্ত রহিয়াছে। বোবা ও বধির দের জন্ত নুন সংখ্যায় ২৭ট স্কুল এবং বোর্ডিং হাউস আছে। মহিলাদের শত শত সমিতি আছে । আজি উহার একটি বিশেষ সমিতির বিষয় কিঞ্চিৎ উল্লেখ করিব। দেখিতে দেখিতে “দাই নিপ্পন জ্যো কাই (জাপান মহিলাসমিতি ) সমধিক প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে। ইংরাজীতে È staats The Japan women’s lcague এই সমিতির সাত আট বৎসরের জীবনী পর্য্যলোচনা করিলে নব্য উদ্বদ্ধ জাপানের বীর্য্য ভারতী। শ্রাবণ, ১৩১৭ বর্তী মেয়েদের সম্বন্ধে অনেকটা জ্ঞান জন্মিতে পারে। বক্সার যুদ্ধের পর ১৯০০ অব্দে চীনের উত্তর প্রদেশে জনসাধারণের ভিতর দুর্ভিক্ষ, ব্যাধি, গৃহবিবাদ প্রভৃতি নানারূপ উপদ্রব উপস্থিত হয়। ঐ সকল উপদ্রবের নিরাকরণ মানসে জাপানের হিগালি হোঙ্গান ধৰ্ম্মমন্দির হইতে কতিপয় ব্যক্তি উত্তর চীনে গমন করেন। ঐ সকল ব্যক্তির মধ্যে বৃদ্ধ মহিলা ওকুমুর একজন। এই বৃদ্ধ মহিলা কর্তৃকই জাপানের বিখ্যাত মহিলা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি চীনের স্বদেশ প্রেম এবং পরস্পর সহানুভূতি ও একতার অভাবে নানারূপ বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি পরিলক্ষণে, জাপানী সৈনিক বিভাগের সুবন্দোবস্ত এবং উহাদের স্বদেশ প্রেম ও কাৰ্য্যতৎপরতাই জাতীয় সুখ শান্তির মূল এবং সাধারণের সুখশান্তিই জাতীয় শক্তির মূল বলিয়া হৃদয়ঙ্গম করেন। জাপানী সেনা বিভাগের এই স্বদেশ প্রেম এবং কার্য্য তৎপরতার বীজ সমগ্র জাতির মধ্যে উপ্ত হইয়। যাহাতে দেশকে উন্নতির চরমশিখরে দাড় করাইতে পারে তজ্জন্ত তিনি মহিলাসমিতি সংস্থাপনে কৃতসঙ্কল্প হয়েন । দেশে ফিরিয়া তিনি জনসাধারণের মধ্যে র্তাহার অভিপ্রেত বিষয়ের আলোচনায় প্রবৃত্ত হইলে, প্রিন্স কোণেরে তাহার পোষকতা করিতে লাগিলেন । খৃষ্টাব্দে ফেব্রুয়ারীমাসে সমিতির প্রথম অধিবেশন হয়। অথচ এই অল্প সময়ের মধ্যে অনু্যন পাচলক্ষ মহিলা এই সমিতির সভ্যশ্রেণীভূক্ত হইয়াছেন।.স্বয়ং সম্রাজ্ঞী প্রধান উৎসাহদায়িনী। তিনি প্রতি বৎসর দুই সহস্র ইয়েন > So ')