বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২২ ভারতী। শ্রাবণ, ১৩১৭ ভাগ্য-চক্র । ( ইংরাজী হইতে ) নোটের তাড় মাট । উপর পড়িয়া ছিল ! জন ধীরে ধীরে পা দি চাপিয়া ধৰিল । চারিধারে চাহিয়া ধীরে ধীরে তাড়াটি পকেটে ফেলিয়া সে চলিয়া গেল। তখন সন্ধ্যা । ব্যাঙ্কের ছুটি হইয়া গিয়াছে। বরাবর চলিয়া আসিয়া একটি আলোর ধারে ভাজ খুলিয়া জন দেখে দশ টাকা করিয়া দশখানি নোটে—একশত টাকা । মৃদু হাসিয়া সেগুলি ওয়েষ্ট কোটের পকেটে রাখিয়া জন দ্রুতপদে চলিল । ১৮নং বাড়ীর সম্মুখে সে থামিল। অপর বাড়ী গুলা হইতে এবাড়ীর গঠনে কোন পার্থক্য ছিল না। কেবল তার সম্মুখে একটি লাল আলো জলিতেছিল ! সিঁড়ি বাহিয়া উপরে গিয়া জন দরজায় ঘা দিল। দ্বার খুলিল ! টেবিলে প্রেমার খেলা চলিতেছিল। বাজির পর বাজি ! কাহারে মুখে উৎসাহের চিহ্ন কাহারে বা গভীর হতাশা। একশ টাকা হারিয়া একটি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া জন বাহিরে চলিয়া আসিল ! পথ ধরিয়া একেবারে সে ব্যাঙ্কের সম্মুখে আসিয়া পড়িল। এইটিই তার গৃহে ফিরিবার পথ! তার মনটা খুবই বিষণ্ণ ছিল ! একেবারে একশ’ টাকাই হরিয়াছে ! তাইত ! হাজার হোক, অধৰ্ম্মের টাকা दिन ! थाकिवांझ नग्न ! ব্যাঙ্কের সম্মুখে, সে চাহিয়া দেখে, অধীর প্রতীক্ষায় দাড়াইয় এক প্রৌঢ় নারী ! তার মুখখানিতে যেন কে বিষাদের কালি টানিয়া দিয়াছে ! নারীটি যেন কিছুর সন্ধানে ব্যস্ত । জন কহিল—“আপনি এসময়ে কি খুজিতেছেন ! কিছু হারাইয়াছেন নাকি ?” নারী কহিল—“হঁ। মশায় আমার লোক চেক ভাঙ্গাইতে আসিয়া নোট হারাইয়। কাদিতে কঁাদিতে বাড়ী ফিরিয়াছে । আমি এখন জানিতে পারিয়া সন্ধানে ছুটিয়া আসিয়াছি।” জন চারিধার চাহিয়া দেখিল । নিকটে কেহ ছিল না। সে কহিল, “কত টাকার নোট ?” ”একশ টাকা ! ওঃ, সৰ্ব্বনাশ হইয়াছে ! যদি কেহ পাইয়া থাকে সে কি আর মিলিবে ?” তৰু চারিধারে খুজিতেছি যদি পাই!” “বৃথা চেষ্টা—আমি পাইয়াছিলাম”— “আপনি ? আঃ দিন দিন–ধন্যবাদ আপনাকে ! আমি পুরস্কার দিব। কই সে নোটগুলি ?” “नाझे !” “নাই ? সে কি ? “হারিয়াছি।” “হারিয়াছেন ? বলেন কি মশায় ? কেমন করিয়া হারিলেন ?” কোথা গেল ?”