বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩sশ বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা । পাইলেন । এই নির্জন স্থানে এক ঋষি র্তাহার আশ্রম স্থাপন করিয়া একান্ত মনে ঈশ্বরীরাধনা করিতেছিলেন। রাজকুমার উtহার নিকট আপন অবস্থা বর্ণনা করাতে ঋষি তাহীদের পথ দেখাইয়া দিলেন। এতদিনে রাজকুমার বনের হাত হইতে নিস্কৃতি পাইলেন। যুবরাজের অনুরোধ ক্রমে ঋষিবর তাহাদিগকে অযোধ্যার পথই দেখাইয়া দিয়াছিলেন। একদিন গভীর রাত্রে তিন জনে গোপনে ছদ্মবেশে নগর মধ্যে প্রবেশ করিলেন। যেদিন তিনি এই নগর হইতে লাঞ্ছিত হইয়া তাড়িত হইয়াছিলেন, সে আজ প্রায় এক বৎসরের অধিক হইল। আজ নগর আবার আনন্দ উৎসবে পরিপূর্ণ। প্রাসাদের নিকটে যাইয়া রাজকুমার দেখিলেন চতুর্দিক প্রহরী বেষ্টিত। এক প্রহরীকে এ উৎসবের কারণ জিজ্ঞাসা করাতে সে বলিল—“এ্যা, তুমি কি জান না যে কাল আমাদের রাজকুমারীর বিবাহ ?” রাজকুমার জিজ্ঞাসা করিলেন—“বিবাহ হইবে কাহার সহিত ?” “রাজমন্ত্রীর সহিত। আমার বাজে কথা কহিয়া সময় নষ্ট করিবার অবকাশ নাই।” রাণী মন্ত্রীর প্রতি বিশেষ প্রসল্প ছিলেন এবং রাজাকে বুঝাইয়া তাহাকেই জামাতা করা স্থির করিয়াছেন । ক্ষোভে ও ক্রোধে রাজকুমার জ্ঞানশূন্ত হইয়া মহাদেবের নিকট প্রার্থনা করিলেন যে এরূপ ঘটনা যেন না ঘটে, তাহার মনোনীতা পত্নী যেন অপরের না হয়। সেই রাত্রে স্বপ্নে মহাদেব আসিয়া তাহাকে আশ্বাস দিয়া বলিলেন “আমি তোমার পত্নীর উদ্ধারের উপায় বলিয়া দিব ।” চয়ন-শিবমন্দির। aة ه غ পর দিন যখন উৎসব প্রাঙ্গণে সকলে সমবেত হইয়াছে, রাজ কন্যাদান করিবার জন্য প্রস্তুত হইয়াছেন এবং পাপচিত্ত মন্ত্রী রাজকুমারীর সীমন্তে সিন্দুর দিবার জন্ত পর্দার অন্তরালে যাইতেছেন, এমন সময়ে হঠাৎ চীরপরিহিত ভষ্মমাখা এক ফকির জনতা ভেদ করিয়া রাজসমীপে অগ্রসর হইতে হইতে চীৎকার করিয়া উঠিল—“দোহাই, মহারাজ, দোহাই !” রাজা দ্যায়বিচার দানে বাধ্য, সুতরাং বলিয়া উঠিলেন—“কে তুমি বিচার প্রার্থনা করিতেছ?” “আমি ঐ দুষ্টানারী ও এই মন্ত্রীর ষড়যন্ত্রে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হইয়াছিলাম, এক্ষণে মহাuদবের কৃপায় সে রোগ হইতে মুক্ত হইয়৷ আমার পত্নীভিক্ষা করিতে আসিয়াছি।” তাহার কথা শেষ হইতে ন হইতে মহাদেবের শাপে রাণী ও মন্ত্রী ভয়ঙ্কর কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হইল। এতদিনে রাজার চক্ষু ফুটিল । তিনি রাণী ও মন্ত্রীকে অরণ্যে তাড়াইয়া দিলেন । যুবরাজের সহিত রাজকুমারীর বিবাহ হইয়৷ গেল । তৎপরে মহাদেবের কৃপার কথা স্মরণ করিয়া যুবরাজ.সেই মহিষের ডোব খুজিয়৷ বাহির করিলেন এবং তাহার আদেশে সেই স্থানে এই পুষ্করিণী খনিত হইল। তিনি ডোবার চতুর্দিকের ভূমি কৰ্ষিত করিয়া তাহার মধ্যে স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা ছড়াইয়া দিয়া চতুর্দিক পুনরায় মৃত্তিকা দ্বারা ঢাকিয়া দিলেন। যুবরাজ প্রচার করিলেন যে এই মাটি খুড়িয়া যে যতগুলি মুদ্রা পাইবে সে গুলি তাহার নিজের পারিশ্রমিক হইবে । নীনাদেশ হইতে লোক আসিয়া