বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৪৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8○b" পৃথিবী ছাড়িতে তার ইচ্ছা নাই—তাই সে পলাইয়া আসিয়াছিল । - তুমি জানো, এ দোষের ক্ষমা নাই । আমরা গরিব, কিন্তু আমার পিতা-পিতামহ রাজার কাজে, হাসিমুখে, যুদ্ধে প্রাণ দিয়াছে— কুলাঙ্গার মহম্মদের জন্ত সে গৌরব ধুলায় মিশিবে—আমার সহ হইল না ! তাই তার বেশ ধরিয়া আমি তার কাজে আসিয়া যোগ দিলাম। কেহ চিনিতেও পারিল না । পিতামহীকে লইয়া মহম্মদ দেশ ছাড়িল । কোনদিন যদি সে হতভাগার দেখা পা ও ত, ছাড়িয়া দিও—এমন হীন প্রাণ লইয়া বঁচিয়৷ থাকিতে যদি তার সাধ হয়, তবে বাচিতে দিও, মারিও না—তোমার কাছে এইটুকু শুধু আমার মিনতি । ভারতী । আশ্বিন, ১৩১৭ চর বেশে তোমাদের দলের সন্ধানে অসিয়া ধরা পড়ি—তারপর কি হইল, সব জানো-- সে কথা আর বলিয়া লাভ কি ? এখন বিদায়, আলি–তোমাকে কত ভালবাসিতাম, তাহা বুঝাইতে পারিলাম না, এই দুঃখ রহিয়া গেল ! তবু তোমারি দেওয়া মৃত্যুদণ্ড লইয়া হাসিতে হাসিতে মরিলাম, এ কি কম সুখ । আজ এই পৰ্য্যস্ত। যদি বেহেস্ত থাকে, তবে সেখানে আবার দুইজনের দেখা হইবে । আজ আসি, আলি, বিদায় দাও । তোমার মরিয়ম !” রজ্জব, নিজের হাতে আমি নিজের বুকের পাজর ভাঙিয়াছি ! স্বহস্তে আমার মরিয়মকে হত্যা করিয়াছি।” শ্ৰীসৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়। আপ্তকাম । ছড়িয়ে দিয়ে কুড়িয়ে নেওয়া বাড়িয়ে দেওয়া কাজ, এম্নি কবে কাটাও তুমি সারা সকাল সাব । দেখাও কত কৰ্ম্ম রত ব্যাপ্ত কত দিকৃ, যায় না জানা কোথায় থান।] পায় না কেহ ঠিকৃ। দেথাও হেন বইছ যেন কত শত ভার, রাতে দিনে নিজগুণে করছ কত পার । জেগে দেখি সকল ফাকি আরত কিছু নাই, এক তুমি আপন মনে চলেছ গান গাই । এই কথাটা সবার মাঝে বলতে নাহি দাও, পুর্ণ হ’য়ে আছ যে হে কারেও নাহি চা ও । “ শ্রহেমলতা দেবী