বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৫৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4>& পুণরায় বঙ্গদেশে প্রত্যাবর্তন করিতে বাধ্য হইলেন। এবার আলিবন্দী মেদিনীপুরেই বর্ষাযাপন করিয়া শীতের প্রারন্ধেই মহারাষ্ট্রলিগের সহিত শেষ-যুদ্ধ করিতে মনস্থ করিলেন । এই উদ্দেশ্বে তিনি মেদিনীপুরের চতুর্দিকে দুর্গাদি নিৰ্ম্মাণ করিবার আদেশ প্রচার করিলেন। কিন্তু এই নিৰ্ম্মাণ-ক্রিয় শেষ হইতে না হইতেই সিরাজের বিদ্রোহ-সংবাদ আসিয়া উপস্থিত হুইল । সুতরাং উপস্থিত আলিবদাঁকে বিহারের প্রতিই মনোযোগী হইতে হইল। সিরাজ স্বাধীনভাবে রাজ্যভার গ্রহণ করিৰার জন্ত জানকীরামের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করিয়াছেন সংবাদ পাইয়। নবাব বিচলিত হইয়া উঠিলেন । কিঞ্চিৎ সৈঙ্ক সঙ্গে লইয়। তিনি তৎক্ষণাৎ মুর্শিদাবাদ যাত্রা করিলেন । কিন্তু সিরাজ তৎপূর্বেই বিহারে উপস্থিত হইয়। জানকীরামের নিকট হইতে পাটনা নগর হস্তগত করিয়াছিলেন । নবাব যে সিরাজকে কিরূপ ভাল বালিভেন, তাহা জানকীরাম জানিতেন। সুতরাং এরূপ স্থলে উtহার যে কি কৰ্ত্তব্য তাঁহা তিনি স্থির করিয়া উঠিতে পারিলেন না। অবশেষে বিনরক্তপাতে যুদ্ধ শেষ করাই শ্রেয় স্থির করিয়া, তিনি পিরাজকে পরাজিত করিয়াও অক্ষত দেহে সসৈন্তে পলায়ন করিবার অবসর প্রদান করিলেন । অনেক কষ্টে সিরাজকে বুঝাইয়া উহার চিরস্নেহপূর্ণ বৃদ্ধ মতামহের নিকটে আনিয়া উপস্থিত করা হইল। বৃদ্ধ নবাব তাহীকে তিরস্কার করা দূরে থাক, তৎক্ষণাৎ বক্ষের মধ্যে লইয়া বিনা বাক্যব্যয়ে তাহার সকল অপরাধ ক্ষমা করিলেন । সিরাজের অকুণ্ডজ্ঞতা বা ঔদ্ধত্যের জন্য নবাব লেশমাত্র ক্রোধ বা বিরক্তি প্রকাশ করিলেন না। ১৭৫১ সালে অtবার মহারাষ্ট্র ও নবাবসেনার যুদ্ধ আরম্ভ হইল। এতকাল ধরিয়া যুদ্ধ করিয়া উভয় পক্ষই শ্রান্ত হইয়া পড়িয়াছিল এবং একট। সন্ধি স্থাপনের জন্য উদ্‌গ্ৰীব হুইয়া ছিল । আলিবর্দী cशनि दtझलiव भजनं प्ा य८िब्रtड् १ रुद्भिन्नifछ्णन, আজ আর তিনি সে আলিবর্দী নাই। একে বৰ্দ্ধক্য তাহার উপর আবার প্রাণপ্রিয় দৌহিত্রের এই ভারতী । আশ্বিন ১৩১৭ বিশ্বাসঘাতকতায় তাহার হৃদয় একেবারে ভগ্ন হইয় গিয়াছিল—সে সাহস ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যেন দিন দিন তাহাকে ত্যাগ করিতেছিল। এক্ষণে র্তাহার মনের अक्इ! ७भन ह३म्नाझिश cष ठिनि उँ|श्ाङ्ग गए द। খ্যাতির পক্ষে ক্ষতিকর সন্ধি করিয়াও মহারাষ্ট্রের হস্ত হইতে নিষ্কৃতি লাভে প্রস্তুত ছিলেন। নবাব ও अशsit8१ भtष] cय मकि इग्न ठे ब्राप्लेr(Stewart) সাহেব জtহার এই সংক্ষিপ্তসার দিয়াছেন – (১) মির হবিব নবাবের সহকারীরূপে গণ্য হইবেন । রাজা রঘুজি ভোসলের সৈন্তগণের যে টাক প্রাপ্য আছে, মির হবিব উড়িষ্যার রাজস্ব হইতে তাহা পরিশোধ করিবেন। এতদ্ভিন্ন নবাব উক্ত রাজার প্রতিনিধিকে বাৎসরিক বার লক্ষ টাকা নজর দিবেন, তাহা হইলে মহারাষ্ট্রের আর নবাবের রাজ্য মধ্যে পদার্পণ কপ্লিবে না। (২) বালেশ্বরের নিকটস্থ সোণামুখী নদী উভয় রাজ্যের মধ্যে সীমাস্ত বলিয়া পরিগণিত হইবে এবং মহারাষ্ট্রেরা কোনও.দিন তাহা উত্তীর্ণ হইবে না, এমন কি নদীবক্ষে অবতরণ পর্যন্ত করিবে না। আলিবন্দী উাহীর জীবনের শেষভাগে রাজ্যরক্ষণেই নিযুক্ত ছিলেন । বৰ্দ্ধক্য সত্ত্বেও তাহার বুদ্ধি ব। মস্তিষ্কের শক্তি কিছুমাত্র হ্রাস পায় নাই । সিরাজের প্রতি স্নেহাধিক্যই উ হার চরিত্রের একমাত্র দুৰ্ব্বলতা ছিল । এই দুৰ্ব্বলতার ফলে সিরাজ এক্ষণে তাহার উপর নিজের আধিপত্য স্থাপন করিয়া উহাকে সিংহাসন ত্যাগ করিতে বাধ্য করিলেন। কিন্তু সিরাজকে নবাব এতই ভাল বাসিতেন যে তাহার উচ্ছ স্থলভার ব্যয় নির্বাহ করিবার জন্য এ সময় তিনি তাহার রাজ্যের প্রত্যেক জেলার উপর “আবে। ফ্লাব" কর স্থাপন করিয়াছিলেন । সিরাজ এক্ষণে তাহীর মতামহের রাজ্যমধ্যে যথেচ্ছশক্তি লাভ করিয়া আপন উন্দাম প্রবৃত্তিলালসার স্রোতে আপনাকে ভ{সাইয়া দিলেন । অনেক উচ্চ পদস্থ সভাসদকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করিঙ্গেও কুষ্ঠিত হইলেন না। ১৭৫৬ সালে চিরবিশ্বস্ত বীর শাহামৎ এবং তদীয় কনিষ্ঠ ভ্রাত। সেীলৎ জঙ্গের মৃত্যু হয়। উড়িষ্যা হইতে