বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা । নানা ছন্দ যে নমতার মধ্যে আপনার স্পন্দনকে লিচিত্র করে তোলে—যে নমতা সহজভাবে সকলের সঙ্গে আপনার যোগ স্বীকার কবে, সীয় দেয়, সাড়া দেয়, আঘাতকে সঙ্গীতে পরিণত করে এবং স্বাতস্থাকে সৌন্দর্য্যের দ্বারা সকলের অাপন কবে তোলে । এক কথায় বলতে গেলে এই নম্রতা بعۂ き রসের নম্রতা-শিক্ষার নমতা নয় । এ নমতা শুস্ক সংযমের বোঝায় নত নয়, সরস প্রাচুর্য্যেব দ্বারাই নত ; আনন্দে পরিপুর্ণতায় নত । স্বভাবতই ভক্তিতে প্রেমের কঠোরত। যেমন তাপমাকে স্বতস্থ রাথে রস তেমনি স্বভালত ই অন্তের দিকে যায়। করে—তfনন্দের ধৰ্ম্মষ্ট হচেচ সে তাপনীকে অনিন্দ সহজেই নিজেকে দান 了 চায় । কিন্তু স্তান্সের সঙ্গে তাহের মধ্যে প্রসারিত করে উদ্ধত হয়ে থাকলে কিছুতেই মিল হয় ন—অন্তকে চাইতে গেলেই নিজেকে নত করতে হয়—এমন কি, সে বাজ যথার্থ S. を রাজা, প্রজার কাছে তাকে নাম হতে রসের ঐশ্বর্য্যে যে লোক ধনী, নর তাই তার প্রাচুর্যোব লক্ষণ । বিশ্বজগতের মধ্যে জগদীশ্বর কোনখানে সামাদের কাছে নত ? যেখানে তিনি সুন্দর ; যেখানে রসেলৈ স: ; সেখানে আনন্দকে ভাগ না কবে তার চলে না ; সেখানে নিজের নিয়মের জোরের উপবে কড়া হয়ে তিনি পাড়িয়ে থাকৃতে পাবেন না, সেখানে সকলের মাঝখানে নেমে এসে সকলকে তঁার ডাক দিতে হয় ; সেই ভাকের মধ্যে কত করুণ, কত বেদনা, কত কোমলতা ! মেহের আনন্দভারে দুৰ্ব্বল ক্ষুদ্র শিশুর কাছে পিতামাত। را রসের ধৰ্ম্ম । * > যেমন নত হয়ে পড়েন, জগতের ঈশ্বর তেমনি করেই আমাদের দিকে নত হয়ে পড়েছেন । এইটেষ্ট হচ্চে আমাদের কাছে সকলের চেয়ে বড় কথা ;--তার নিয়ম অটল, তার শক্তি আসাম, তার ঐশ্বৰ্য্য অনন্ত এ সব কথা অামাদের কাছে ওর চেয়ে ছোট ; তিনি নত হয়ে সুন্দর হয়ে ভালে ভঙ্গীতে হাসিতে গানে রসে গন্ধে রূপে আমাদের সকলের কাছে আপনাকে এবং আপনার মধ্যে আমাদের সকল কে নিতে এসেছেন এইটেই দান করতে এসেছেন হচেচ হামাদের পক্ষে চরম কথা—তার সকলের চেয়ে পরম পরিচয় হচেচ এইখানেষ্ট । জগতে ঈশ্বরের এই যে দুইটি পরিচয় – একটি অটল নিয়মে, আর একটি সুনম্ৰ সৌন্দর্য্যে—এর মধ্যে নিয়মটি অাছে গুপ্ত আর সৌন্দর্য্যটি আছে তাকে ঢেকে। নিয়মটি এমন প্রচ্ছন্ন যে, সে যে আছে তা আবিষ্কার করতে মাহুষের অনেকদিন লেগেছিল কিন্তু সৌন্দর্য্য চিরদিন আপনাকে ধরা দিয়েছে। সৌন্দর্য্য, মিলবে বলেই, ধরা দেবে বলেই সুন্দর। এই সৌন্দর্যের মধ্যেই রসের মধ্যেই মিলনের তত্ত্বটি রয়েছে । ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের মধ্যে যখন কাঠিন্তই বড় ছয়ে ওঠে তখন সে মানুষকে মেলায় না, মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে। এই জন্তে কৃচ্ছসাধনকে যখন কোন ধৰ্ম্ম আপনার প্রধান অঙ্গ করে তোলে যখন সে অচিfরবিচারকেই মুখ্য স্থান দেয় তখন সে মানুষের মধ্যে ভেদ আনয়ন কবে ; তখন তার নীবল্লাস কঠোরভা সকলের সঙ্গে তাকে মিলতে বাধা দেয়, সে আপনার নিয়মের মধ্যে নিজেকে অত্যন্ত তন্ত্র করে আবদ্ধ করে’ রাখে ; সৰ্ব্বদাই