মনের উপরে রহিয়াছে যে বৃহত্তর শক্তি, তাহাকে নামাইয়া কার্য্যকরী করিয়া তুলিত জীবনগতির মধ্যে, স্থূল বস্তুর আয়তনে—সেই সূক্ষ্ম বিজ্ঞানেরও পুরাতন ও নূতন নূতন রূপ বিজ্ঞান আলোচনারই অঙ্গ হইয়া উঠিবে। তারপর শিল্পকলা ও কাব্যের গোড়াকার প্রাকৃত লক্ষ্য হইতেছে মানুষের ও প্রকৃতির প্রতিরূপ সৃষ্টি করা, যাহাতে আমাদের সৌন্দর্য্যবোধ তৃপ্ত হয়, যাহাতে বুদ্ধিবৃত্তির এবং কল্পনার ভাবরাশি সুচারুরূপে আমাদের সম্মুখে মূর্ত্ত হইয়া উঠে। কিন্তু শিল্পকলা, কাব্য যখন হয় অধ্যাত্মদৃষ্টির সৃষ্টি, তখন তাহার লক্ষ্য মানুষের ভিতরে লুক্কায়িত আছে যে মহত্তর পদার্থ সব তাহা ব্যক্ত করিয়া ধরা; যে অধ্যাত্ম রসায়ন, যে বিশ্বসৌন্দর্য্য জগৎ বেড়িয়া আছে তাহাকে প্রকাশ করা। রাষ্ট্রনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, মানবজীবনের গোড়াপত্তনের দিক দিয়া দেখিলে হইতেছে মানুষ যাহাতে সমবেতভাবে বাঁচিয়া থাকিতে, ধনজন-উৎপাদন করিতে, বাসনা চরিতার্থ করিতে, ভোগ করিতে পারে, যাহাতে দেহপ্রাণমনকে, কর্ম্মপটু, সমর্থ করিয়া ধরিতে পারে, তাহারই একটা ব্যবস্থা। কিন্তু আধ্যাত্মিক দীক্ষা এই সকল প্রতিষ্ঠানের আনিয়া দিবে আরও নূতনতর
পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/১০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম
৯৮