যায় তাহার চেষ্টা সে করিল, দিব্যধর্ম্মের খোঁজে গিয়া দেবতাদের লোকও পার হইয়া চলিয়া গেল। ঈশ্বর পর্য্যন্ত তাহার চোখে ছোট হইয়া পড়িল—আধ্যাত্মিক নাস্তিকতার চরম সে দেখাইল ব্রহ্মবাদে, শূন্যবাদে। আবার যখন বিপরীত দিকে চলিল, তখনও দুরস্ত সাহসে সোজাসুজি খোলাখুলি প্রচার করিল একেবারে জড় নাস্তিকবাদ—ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ— তাহার মধ্যে কোন রকম ধর্ম্মবুদ্ধি বা সাধুগিরিকে এতটুকু আমল সে দেয় নাই। অবশ্য এই ভাবটা ভারতের ছিল খুব একটা অবান্তর দিকের কথা, ভারতের যে চিরপিপাসু জিজ্ঞাসা-বৃত্তি তজ্জনিত একটা খেয়াল মাত্র।
সকল ক্ষেত্রেই দেখি এই একই ধারা। ভারতে যে আদর্শ ফুটিয়। উঠিয়াছে, তাহার মধ্যে এক দিকে পাই যেমন আত্ম-প্রতিষ্ঠার চরম-স্বাতন্ত্র্যের, প্রভুত্বের, ভোগাধিকারের জন্য অদম্য তৃষ্ণা; অন্যদিকে ঠিক তেমনি পাই আত্মত্যাগের চরম—নিজেকে সর্ব্বতোভাবে ঢালিয়া মুছিয়া দিবার জন্য ঐকান্তিক ব্যাকুলতা। জীবনযাত্রায় যখন সে ধনদৌলত চাহিয়াছে, তখন রাজার ঐশ্বর্য্যও তাহাকে তৃপ্ত করিতে পারে নাই; আবার দারিদ্র্যকে যখন সে বরণ করিয়া লইয়াছে, তখন একেবারে দিগম্বর