পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

আবার মিলাইয়া এক করিয়া লইয়াছে, কর্ম্মসাধনায় প্রতিষ্ঠানরচনায় স্থাপিত করিয়াছে একটা সঙ্গতি, সম্মেলন। গ্রীক-জাতি ছন্দ ও সঙ্গতি পাইয়াছিল নিজেকে সর্ব্বদা সীমার ভিতরে বাঁধিয়া রাখিয়া—সীমানা কাটিয়া কাটিয়া; কিন্তু ভারতের ছন্দ ও সঙ্গতির মূল তাহার বিচারবুদ্ধি, তাহার শ্রেয়োবোধ, তাহার রসানুভূতির সহজ-শৃঙ্খলা, তাহার মনের ও প্রাণের সুসমঞ্জস প্রেরণা।

 এই তথ্যগুলি এমন করিয়া বিশদভাবে বলিতে হইতেছে, কারণ, অনেকে এ সব কথা সহজেই ভুলিয়া যান—তাঁহাদের দৃষ্টি আবদ্ধ কেবল শেষ দিকের কয়েকটি যুগে ভারতের চিন্তা ও ভাবে যে সকল ধরণ-ধারণ অতিকায় হইয়া ফুটিয়া উঠিয়াছিল তাহারই মধ্যে। কিন্তু শুধু এই গুলির উপরেই জোর দিয়া চলিলে ভারতের অতীত সম্বন্ধে যে জ্ঞান তাহাতে অনেক ফাঁক, অনেক ভুল থাকিয়া যাইবে; ভারতের শিক্ষাদীক্ষার অর্থ কি, কোন্ নিবিড় অনুপ্রেরণায় সে চলিয়াছে, তাহার অখণ্ড রূপ আমরা কখনও ধরিতে পাইব না। অতীত চলিয়া যাইতে যাইতে ভাটার মুখে যে শেষ পলিমাটি রাখিয়া গিয়াছে তাহাই হইতেছে বর্ত্তমান। এই বর্ত্তমান হইতেই আবার ভবিষ্যতের আরম্ভ, সন্দেহ নাই। কিন্তু

৩০