পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

তাহাদের নিজেদেরই সমুচ্চ সত্য-প্রেরণায় প্রতিষ্ঠিত করিতে।

 ভারতের নবজন্মের কাজ হইবে এই অধ্যাত্মশক্তিকে, এই সমুচ্চ দৃষ্টিকে, এই গভীর প্রতিভাকে জগতের জীবনক্ষেত্রে আবার একবার সজীব সৃজনক্ষম করিয়া ধরিতে, সকল শক্তির উপরে একচ্ছত্র শক্তিরূপে স্থাপন করিতে। কিন্তু নিজের নবজন্মের এই যে ভিতরের সত্য, সে সম্বন্ধে ভারত এখনও সম্পূর্ণ সচেতন হইয়া উঠিতে পারে নাই, অস্পষ্টভাবে অনুভব করিতেছে মাত্র। বর্ত্তমানে সে যাহা কিছু করিতেছে তাহার বেশীর ভাগই ইউরোপীয় ভাবে, ইউরোপীয় ভঙ্গীতে অনুপ্রাণিত। আমাদের অন্তর-পুরুষের সহিত তাহার মিল সামঞ্জস্য নাই বলিয়া, তাহা আমাদের গভীরতম সত্তা হইতে উৎসারিত হইতেছে না বলিয়াই সে কাজের প্রেরণার মধ্যে তীব্রতা নাই, গড়নের মধ্যে সামর্থ্য নাই, ফলও আশানুরূপ নহে। দুই একটি ক্ষেত্রে মাত্র একটা আত্মজ্ঞানের পরিষ্কার লক্ষণ যেন দেখিতে পাই। কিন্তু যতদিন এই আত্মজ্ঞানের জ্যোতিঃ সকল দিকে না ছড়াইয়া পড়িবে, সাধারণ হইয়া না পড়িবে ততদিন ভারতের নবজন্ম ভবিষ্যতের আশা রূপেই থাকিবে, বর্তমানের বাস্তব বস্তু হইয়া উঠিবে না।

৪২