অধিকার করিয়া গ্রাস করিয়া চলিয়াছে, আধুনিকের প্রভাব আর ভারতকে অধিকার করিতে গ্রাস করিতে পারিতেছে না।
বিশ্ব-প্রকৃতির যে বহুল কর্ম্মধারা মানুষকে লইয়াই হউক, আর জড়বস্তু লইয়াই হউক, তাহার মধ্যে কোথাও অকস্মাৎ, বিনা কারণে কিছু ঘটিয়া যায় না, অথবা বাহিরের অবস্থাই সেখানে একমাত্র নিয়ন্তা নহে। পরিবর্ত্তনের ধারা যত বিপুল হউক না কেন, তাহার মূল আবেগ আসিতেছে বস্তুর অন্তরের প্রকৃতি হইতে। ভিতরে ভিতরে যে জিনিষ যাহা তাহারই চাপে কর্ম্মক্ষেত্রে সে অভিনব অপ্রত্যাশিত মূর্ত্তি সব লইয়া ফুটিয়া উঠিতেছে। ভারতের আছে যে অন্তরের সনাতনী প্রকৃতি, ভারত ভিতরে ভিতরে নিজে যাহা তাহারই দরুণ অবশ্যম্ভাবী হইয়া পড়িয়াছে, পূর্ব্ব হইতেই নির্দ্দিষ্ট হইয়া আছে, বর্ত্তমানের এই যুগান্তর, জটিল রূপান্তর। ভারত যে রাতারাতি এক নিঃশ্বাসে পাশ্চাত্যের ভাব ও রূপ সব গলাধঃকরণ করিয়া ফেলিবে, নিজের অতীতের যে সব অধিষ্ঠাত্রী ভাব সেগুলি বিসর্জ্জন দিয়া, সব্যাজে যেন তেন প্রকারেণ বিদেশীর আবহাওয়ায় আপনাকে মিলাইয়া ধরিতে ব্যস্ত হইয়া পড়িবে—ইহা এক অসম্ভব