পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

যতই সে অগ্রসর হইয়া চলিয়াছে, ততই এত রকমের মতবাদ, দেখিবার ভঙ্গী, চলিবার ধারা, সব ফুটিয়া উঠিয়াছে মিশামিশি হইয়া এমন বিরাট গোলমাল পাকাইয়া তুলিয়াছে যে সেখানে কোন স্পষ্ট নিঃসন্দেহ পরিণতি সহজে সম্ভব হইতেছে না—মনে হয় যেন আমরা চলিয়াছি অন্ধকারের মধ্য দিয়া অনির্দ্দিষ্ট ঘটনাচক্রের তাড়নায়, ভবিষ্যতের লক্ষ্য সম্বন্ধে আমাদের পরিষ্কার ধারণা কিছু নাই, ঢেউএর মত একটা আবেগে এক সময়ে উঠিয়া পড়িতেছি, আবার আর এক খেয়ালে পরমুহূর্ত্তে নামিয়া পড়িতেছি—আমরা চলিয়াছি এই ভাবে ভাসিয়া ভাসিয়া। তবুও একথা সত্য যে, এই সকল অনিশ্চয়তার অন্তরালে ভিতরে ভিতরে একটা লক্ষ্য নির্ণীত হইয়া উঠিতেছে, তাহার অভিব্যঞ্জনা বাহিরেও আসিয়া দেখা দিতেছে। ফল তাহার আর যাহাই হউক, সে জিনিষ যে পাশ্চাত্য আধুনিকতার প্রাচ্য সংস্করণ নহে, সে জিনিষ যে সম্পূর্ণ নূতন একটা সৃষ্টি, সমস্ত মানবজাতির ভবিষ্যৎ শিক্ষাদীক্ষা যে তাহার উপর অনেকখানি নির্ভর করিবে, এইটুকু এখনই নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে।

 পাশ্চাত্যশিক্ষার ফলে ভারতে সর্ব্বপ্রথম যাঁহাদের মস্তিষ্ক গড়িয়া উঠিয়াছিল—সংখ্যায় তাঁহারা সামান্য

৪৮