পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম

শেষে আমরা এতদূর চলিয়া গিয়াছি, গোড়ায় যে চিন্তা, যে ভাব দিয়া শুরু করিয়াছি, পরে রঙ্ রেখা বদ‍্লাইতে বদ‍্লাইতে তাহা এমন রূপ লইয়া দাঁড়াইয়াছে যে, তাহা ভারতেরই একান্ত নিজস্ব সৃষ্টি হইয়া উঠিয়াছে। এই রকমে যে রূপান্তর ঘটিয়াছে, তাহার ধাপ আমরা নির্দ্দেশ করিতে পারি দুই জনের সৃষ্টি দিয়া—ইদানীন্তন কালের সাহিত্যস্রষ্টাদের মধ্যে যে দুইজন প্রতিভার বিশেষত্বে ও নূতনত্বে সর্ব্বাপেক্ষা গরীয়ান্—বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 পাশ্চাত্যের সংস্পর্শজনিত এই যে পরিবর্ত্তনের ধারা, তাহার সাথে সাথেই আবার বিপরীত দিক্ হইতে একটি আরও বিশেষ ধরণের বলবত্তর ধারা বহিয়া চলিয়াছে। গোড়ায় এইটির আরম্ভ পূর্ণ বিদ্রোহ দিয়া—ভারতের যাহা কিছু, তাহা ঠিক যেমন আছে তেমনিই সে গ্রহণ করিয়াছে, জোর করিয়া সমর্থন করিয়াছে; আর কোন কারণের জন্য নহে, শুধু এই কারণে যে, তাহা ভারতের। এই ধাক্কার জের এখনও আমাদের মধ্যে পাওয়া যায়, এখনও ইহার অনেক প্রভাব সজীবভাবে বর্ত্তিয়া চলিয়াছে; কারণ, ইহার কাজ এখনও শেষ হয় নাই। কিন্তু এই যে প্রতিক্রিয়া, বাস্তবিক পক্ষে তাহা হইতেছে

৫৬