প্রতিবাদের ধারা, তাহাও কি রকমে সমষ্টিগত ধারারই আকৃতি প্রকৃতি অনুসরণ করিয়া চলিয়াছে সেই রহস্যেরও আছে একটা বিশেষ অর্থ। ভারতের যে ধর্ম্মবৃত্তি তাহা চিরন্তন কাল হইতে তিনটি প্রেরণার উৎসকে ধরিয়া ফুটিয়া উঠিয়াছে—জ্ঞান, ভক্তি ও কর্ম্ম। ঠিক এই তিনটিকে ধরিয়া একের পর একে ব্রাহ্মধর্ম্ম ক্রমে তিনটি ভাগে শাখায়িত হইয়া উঠিয়াছে। তারপর পাঞ্জাবে যে আর্য্যসমাজ তাহার প্রতিষ্ঠা বেদের এক নূতন ব্যাখ্যার উপর, তাহার চেষ্টা হইতেছে বৈদিক সত্য সকল আধুনিক জগতের জীবনক্ষেত্রে প্রয়োগ করা। রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দ ছিলেন যে ধর্ম্মান্দোলনের মাথায় তাহা চাহিয়াছে অতীত যুগের সকল ধর্ম্মসিদ্ধান্ত ও অধ্যাত্মউপলব্ধিকে একটা বিরাট্ উদার মহাসমম্বয়ে বিধৃত করা—সে সমন্বয় প্রাচীন বৈরাগ্য ও সন্ন্যাসকে আবার সকলের উপরে স্থাপন করিয়াছে সত্য বটে, কিন্তু তাহারই সঙ্গে মিশাইয়া দিয়াছে নূতন জীবন্ত সাধনার ধারা, জনসেবার আগ্রহ, দেশে বিদেশে প্রচারের উৎসাহ। এমন কি, গোঁড়া যে হিন্দুধর্ম্ম, তাহারও গায়ে নূতন জাগরণের হাওয়া লাগিয়াছে——যদিও ২৫৷৩০ বৎসর পূর্ব্বে সে জিনিষটির যেমন জোর ছিল, আজ ঠিক তেমন
পাতা:ভারতের নবজন্ম - অরবিন্দ ঘোষ.pdf/৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতের নবজন্ম
৬৫