বিপজ্জনক হইবে। কিন্তু শেষ পর্য্যন্ত তাহারা কেবল পঞ্জাবকেই প্রবলরূপে প্রভাবান্বিত করিতে সমর্থ হইয়া ছিল, যদিও তাহারা তাহাদের তরঙ্গ পশ্চিম উপকূল দিয়া আরও দক্ষিণে প্রেরণ করিয়াছিল, এবং বহুদূর দক্ষিণে কিছুকালের জন্য বিদেশী রাজবংশও প্রতিষ্ঠিত হইয়া থাকিতে পারে। কিন্তু এই সকল স্থানে জনগণের জাতিগত প্রকৃতি কতখানি পরিবর্ত্তিত হইয়াছিল, তাহা আদৌ নিশ্চয় করিয়া বলা যায় না। প্রাচ্য সম্বন্ধে গবেষণাকারী পণ্ডিতগণ এবং নৃবিজ্ঞানবিদ্গণ কল্পনা করিয়াছেন যে, পঞ্জাব শকজাতিতে পরিণত হয়, রাজপুতেরা শকেদেরই বংশধর, এমন কি আরও দক্ষিণে এই আক্রমণের দ্বারা জাতি পরিবর্ত্তিত হইয়া গিয়াছিল। এই সকল জল্পনাকল্পনা অতি অপর্য্যাপ্ত বা বিনা প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত, ইহাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য থিওরি বা মতও আছে, এবং ইহা খুবই সন্দেহের বিষয় যে, আক্রমণকারীরা এত বেশী সংখ্যায় আসিয়াছিল যাহাতে এইরূপ গুরুতর পরিবর্ত্তন সংঘটিত হইতে পারে। আরও ইহা অসম্ভব বলিয়া প্রতিপন্ন হয় এই জন্য যে, দুই তিন পুরুষের মধ্যেই এই সকল আক্রমণকারীর দল সম্পূর্ণভাবেই ভারতীয় ভাবাপন্ন হইয়া পড়িয়াছিল, সম্পূর্ণভাবেই ভারতের ধর্ম্ম, আচার ব্যবহার, কৃষ্টি গ্রহণ করিয়াছিল এবং ভারতীয় জনসাধারণের
পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/১৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় ঐক্যসাধন সমস্যা
১২১