এবং রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি ঐ দুইটি উদ্দেশ্যসাধনের স্বাভাবিক ক্ষেত্র। জীবনের এই বাহ্য দিকে উচ্চতর নীতি বা ধর্ম্মকে কেবল আংশিকভাবে আনা ছাড়া আর বেশী কিছু কোথাও সম্ভব হয় নাই এবং রাজনীতির ক্ষেত্রে ধর্ম্মের স্থান খুবই অল্প ছিল। কারণ, নীতিধর্ম্মের অনুসরণ করিয়া রাজনীতিক কার্য্যপরিচালনের চেষ্টা সাধারণতঃ একটা ছল ভিন্ন আর বেশী কিছু নহে। মানবজাতির অতীত ইতিহাসে এ পর্য্যন্ত সমষ্টিগত বাহ্য জীবনের সহিত মোক্ষ বা মুক্ত অধ্যাত্মজীবনের প্রকৃত সংযোগ বা সমন্বয় সাধন করা আদর্শ হিসাবেও কোথাও গৃহীত বা অনুসৃত হইয়াছে কি না সন্দেহ, এ বিষয়ে কৃতকার্য্য হওয়া ত দূরের কথা। মানুষ এখনও তদুপোযোগী পরিণত অবস্থায় উপনীত হয় নাই। তাই আমরা দেখিতে পাই যে, ভারতে মোক্ষলাভের সাধনা ব্যক্তিগত জীবনেরই উচ্চতম সাধনা বলিয়া পরিগণিত হইয়াছে, কিন্তু সামাজিক, অর্থনীতিক, রাজনীতিক[১] জীবন-ধারাকে ধর্ম্মের[২] দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত করিবার চেষ্টা হইয়াছে, আধ্যাত্মিক সার্থকতাকে কেবল ছায়ার মত পশ্চাতে রাখা হইয়াছে; ভারতের প্রাচীন সমাজ
পাতা:ভারতের রাষ্ট্রনীতিক প্রতিভা - অরবিন্দ ঘোষ (১৯২৫).pdf/৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় রাষ্ট্র-ব্যবস্থার মূলনীতি ও স্বরূপ
২৯