বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভারতে ইংরেজ শাসন - সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br ভারতে ইংরাজ শাসন বিচার কাৰ্য্যে সহায়তার জন্য বাদী ও প্ৰতিবাদীর পক্ষে উকিল বা মোক্তার নিযুক্ত হইতে পারেন। তাহারা স্ব স্ব পক্ষ সমর্থনা করিয়া বিচারকের নিকট আইন ও অবস্থাঘটিত বিষয় বর্ণনা করিয়া থাকেন। এই সকল উকিল ও মোক্তারগণকে গবৰ্ণমেণ্ট গৃহীত আইনপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে হয়। উকিল ও মোক্তার ব্যতীত আর এক শ্রেণীর আইনব্যবসায়ী আছেন, তাহাদিগকে ব্যারিষ্টার বলে । উহঁরা বিলাত হইতে আইনের পরীক্ষায় পাশ করিয়া এদেশে আসিয়া থাকেন। আইনের সূক্ষ্মানুসূক্ষ্ম ব্যাপার। পৰ্য্যন্ত তাহাদিগের ভালরূপ জানা থাকে। সুতরাং আইনের চক্ষে ধূলা দিয়া বিচারে কাহারও প্রতি কোন প্ৰকার অন্যায় করা সহজসাধ্য নয় । পূর্বে অপরাধীর প্রতি পৈশাচিক দণ্ডের বিধান করা হইত। সামান্য অপরাধে মাথা কাটা, শূলে দেওয়া এবং কুকুর দ্বারা খাওয়ানর ব্যবস্থা ছিল। কোন কোন অবস্থায় হাত কাটা, পা কাটা, চক্ষু তুলিয়া ফেলা প্রভৃতি নিষ্ঠুর শাস্তির ব্যবস্থা হইত বলিয়াও শুনা যায়। কিন্তু এখন আর সে দিন নাই ; সুসভ্য ইংরাজ জাতির শাসনে এই সমস্ত লোমহর্ষণ দণ্ড রহিত হইয়াছে । এদেশে এখন অপরাধ করিলে লোকের অবস্থা ভেদে জরিমানা, বেত্ৰাঘাত, জেল, নির্বাসন ও সর্বাপেক্ষা গুরুতর অপরাধের দণ্ড ফাসি পৰ্য্যন্ত হইতে পারে। হত্যাকারী ও রাজদ্রোহী ব্যতীত আর কাহারও छैकिब्ण ९e बाहेिान्न । অপরাধীর দণ্ড ।