পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G하 -E에 1 আমরা পূর্সে যে গোবিন্দজীউর, কথা উল্লেখ করিয়াছি, তঁহায় भूएनांश्डि ७कडन वांचांजी, डिनि अभिाएलन नश्डि नाना विवश डालांत করিলেন—স্বদেশী লোকের পরস্পরের প্রতি যে কতটা সৌহার্দ্য থাকে, তাহ পরস্পর নিকটে থাকিয়া অনুভব করা যায় না। এই দূরপ্রবাসে সমুদয় বাঙ্গালীই এক। গোবিন্দজীউকে দর্শনান্তে মৃত মহারাজ রামসিংহের বৈঠকখানা ও “বান্দলামহল’ ইত্যাদি দর্শনান্তে “হাওয়া-মহল” দর্শন করিলাম। হাওয়া-মহলের সৌন্দৰ্য্য দূর হইতে পরম উপভোগ্য। দূর হইতে ইহাৰেও একটা রথের মত দেখায়। তলের উপর তল, তার উপরে তল, এইরূপভাবে ক্রমশঃ মন্দিরাকারে অট্টালিকার বিস্তৃতি চতুর্দিকে কমাইয়া ছোট করিয়া তোলা হইয়াছে। উন্মুক্ত দ্বারপথে বায়ু প্ৰবেশ করিয়া সর্বদা কক্ষগুলিকে শীতল করে বলিয়াই ইহার নাম হাওয়া-মহল হইয়াছে। ইংরেজ ও অন্যান্য বৈদেশিক পরিব্রাজকগণ শতমুখে ইহার প্রশংসা করিয়া গিয়াছেন। এক মহল হইতে আর এক মহলে যাতায়াত করিবার নিমিত্ত ইহার মধ্যে ললিতভঙ্গিমায় বহু বক্ৰপথ বিদ্যমান রহিয়াছে। গঠনে, সৌন্দৰ্য্যে ও নৈপুণ্যে ইহা অতুলনীয়। ইহার উপর হইতে নগরের সৌন্দৰ্য্যও কতকটা উপলব্ধি করিতে পারা যায়। ইহার নিম্নস্থ রাস্তাটি সুপ্ৰশস্ত ও সুন্দরনিম্ন হইতে ক্ৰমশঃ উচু, রাজপ্রাসাদে আরোহণ করিবার নিমিত্ত এই রাস্তা বহুদূর হইতেই ঢালু করিয়া নিৰ্ম্মাণ করা হইয়াছে। রাস্তার মধ্যস্থলটি প্ৰস্তরমণ্ডিত। পথের সেই উন্মুক্ত স্থলে ধীর মলয়ানিল সর্বদা ক্রীড়া করিতে থাকে। বলিতে ভুলিয়া গিয়াছি যে, রাজপ্রাসাদে প্ৰবেশ করিতে হইলে “পাশ” লওয়ার প্রয়োজন। হাওয়া-মহল সপ্তাতল—এখন পাঠকবর্গ হয় ত সহজেই বুঝিতে পরিবেন যে, এই পার্বত্য প্রদেশে শুষ্ক হ্রদগর্ভে ইহার নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্যে কতটা দৃঢ়তা ও স্থাপত্য-কৌশল নিহিত রহিয়াছে। মহারাজের এই সপ্তাতল হাওয়া-মহল সত্যসত্যই এক অলৌকিক প্রস্তরগৃহ, বহুদূর হইতেই ইহার অভ্ৰভেদী উচ্চচুড়া দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া প্ৰধান ফটকের সম্মুখে মুদ্রাবন্ত্রাগা श92 भश्च । Sb”&ኃ