পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঢোলপুর। - সন্মানিত হইয়াছেন। এ স্থানের বাৰ্ষিক রাজস্ব ১২ লক্ষ টাকার অধিক হইবে । না। বিচার এবং শাসনভার সম্পূর্ণরূপে রাজার হস্তেই ন্যস্ত আছে। : ঢোলপুর স্থানটি বড়ই স্বাস্থ্যকর, খাদ্য जदानि সুলভ, দুধ সাধারণতঃ - প্রতি সের চারি পয়সা হিসাবে বিক্ৰী হইয়া থাকে। মাংসের সের দুই আনার অধিক নহে!—নানা প্রকারের তাঁর তরকারীও এখানে পৰ্য্যাপ্ত পরিমাণে মিলে ; দু'চারি ঘর বাঙ্গালীও এ নগরে কাৰ্য্যোপলক্ষে বাস করিয়া থাকেন, প্রবাসী বাঙ্গালীর স্বাভাবিক সৌজন্যতা ও অতিথি-সেবা হইতে ইহারাও পরাসুখ নহেন। ঢোলপুরের তিন মাইল দক্ষিণে রাজঘাট নামক স্থানে চম্বল বা চৰ্ম্মন্বতী নদীর উপরে একটী নৌ-সেতু আছে- উহা পহেলা নভেম্বর হইতে পনেরই জুন পৰ্য্যন্ত খোলা থাকে, বৎসরের অবশিষ্ট সময় খেয়া নৌকা দ্বারা যাতায়াত ध्° छ् । ঢোলপুরের শিল্প-বাণিজ্য সম্বন্ধে দু একটা কথা বলিয়াই আমরা এ স্থানের সহিত বিদায় গ্ৰহণ করিব। এ রাজ্যের শ্বেত ও রক্তবর্ণ বালুক প্রস্তরের খিলান এবং নানা বিভিন্ন আকৃতির বাতায়ন প্ৰভৃতি দেখিতে অতিশয় মনোহর, কারুকাৰ্য্যের তারতম্যানুসারে মূল্যেরও হ্রাস বৃদ্ধি হয়। এ স্থানের পিত্তল-নিৰ্ম্মিত বিবিধ চিত্ৰালঙ্কত হুকোকে কল্লি কহে, এগুলি দেখিতে বেশ সুন্দর। ঢোলপুরের কাষ্ঠ নিৰ্ম্মিত খেলনা ও অন্যান্য দ্রব্যাদি-বড়ই মনোহর, এখানকার বাণিশি করা দ্রব্যাদির ও বিশেষ খ্যাতি ट2tछ । S89